পদ্মা ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে মানিকগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবিতে রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের আরসিএল মোড়ে ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে।
দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচলেও বিশাল বিঘ্ন তৈরি হয়।
অবরোধকারী মানুষরা ব্যানার ও প্লে কার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং পদ্মার ভাঙন ঠেকানোর জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাদের দাবী, পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাট নদীর ভেতর বিলীন হয়ে গেছে। এরপর তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ফেরি ঘাটেও আংশিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ফেরি ঘাট থেকে যানবাহন চলাচল ঝুঁকি নিয়ে হলেও অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের কারণে পাঁচ নম্বর ফেরি ঘাটের পাশে প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙন কবলিতরা অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে উদাসীনতা প্রকাশ করছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বেলা ১১টার দিকে নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন আয়োজন করেন এবং পরে সড়ক অবরোধে নামে।
অবশিষ্ট তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ চলাকালে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে প্রায় ৫০০ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধের সময় স্থানীয়দের বক্তব্য, ‘আমাদের বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্বেগ নেই। আমাদের দাবী না মানলে ভবিষ্যতে পাটুরিয়া ঘাট পুরোপুরি অবরোধ করে দেয়া হবে।’
অপরদিকে, যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় রোদে অপেক্ষা করতে গিয়ে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা বলেন, ‘জনগণের কষ্টের মাধ্যমে আন্দোলন করা উচিত নয়।’
শিবালয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সরেজমিনে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। নদী শাসন আমাদের অধীনে না থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। খুব শিগগিরই ভাঙনকবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১২৮ বার পড়া হয়েছে