সর্বশেষ

প্রবাস

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মাইক্রোফিন্যান্স বিস্তারে এনেছে নতুন দিগন্ত: ড. ইউনূস

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ৯:১৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কোভিড-১৯ মহামারির সময় প্রথাগত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, মাইক্রোফিন্যান্স খাতে টিকে থাকার পাশাপাশি এর ব্যাপক বিস্তার সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে—বলেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফর শেষে মালয়েশিয়ার জাতীয় বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দুরার রাজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ড. ইউনূস বলেন, “ডিজিটাল ব্যবস্থায় রূপান্তর পরিকল্পিত ছিল না, বরং কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছিল। যখন সাপ্তাহিক কিস্তি আদায়, ঋণের আবেদন বা দলীয় বৈঠক আর আগের মতো করা যাচ্ছিল না, তখন আমরা ফোন ও ডিজিটাল ট্রান্সফারের মাধ্যমে কার্যক্রম চালু রাখি। সাপ্তাহিক সভাগুলো জুমের মাধ্যমে পরিচালিত হতে শুরু করে।”

তিনি আরও জানান, মহামারি শেষ হলেও অনেকে এখনো ভার্চুয়াল মাধ্যমেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি নরওয়ে থেকে একজন গ্রামীণ ব্যাংককর্মী অনলাইনেই ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন—যা তাকে অভিভূত করেছে।

৮৫ বছর বয়সী এই সমাজ উদ্যোক্তা বলেন, “প্রযুক্তি আমাদের কাছে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নয়, বরং বাস্তবতার চাপ থেকেই এসেছে। এখন বিশ্বের অনেক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান আমাদের অনুসরণ করে ডিজিটাল রূপান্তর গ্রহণ করছে।”

ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক, ১৯৮৩ সাল থেকে জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ সুবিধার মাধ্যমে বিশেষ করে দরিদ্র নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ৯ মিলিয়নের বেশি।

মালয়েশিয়া ছিল প্রথম দেশগুলোর একটি, যারা ১৯৮৭ সালে “আমানাহ ইখতিয়ার মালয়েশিয়া (AIM)”-এর মাধ্যমে গ্রামীণ মডেল বাস্তবায়ন করে। এখনো তারা নিম্নআয়ের পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
প্রবাস নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন