জিকে সেচ প্রকল্পে অবৈধ দখলের হুমকি, সংকটে কৃষি

বৃহস্পতিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১:৫২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের খালগুলো অবৈধ দখলের কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই খালগুলোর দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থায়ী ও বাণিজ্যিক অবৈধ স্থাপনা, যা পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে।
ফলে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চার জেলার ১৩ উপজেলার হাজারো কৃষক।
জানা গেছে, প্রধান সেচ খালের বিভিন্ন অংশে প্রভাবশালী দখলদাররা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন দোকান, ঘরবাড়ি, এমনকি ব্যবসায়িক স্থাপনা। কোথাও কোথাও স্লুইস গেটের উপরও দখলদারদের নিয়ন্ত্রণ দেখা গেছে। অনেক স্থানে নতুন স্থাপনাও নির্মাণাধীন রয়েছে।
জিকে সেচ প্রকল্পের নিষ্কাশন খালগুলোও একই পরিণতির শিকার। বসতবাড়ি থেকে শুরু করে নানা অবকাঠামো গড়ে উঠেছে খালের জমিতে। দখলদার উচ্ছেদে প্রশাসন উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় বাধার কারণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় প্রভাবশালীরা স্লুইস গেট নিয়ন্ত্রণ করে ইচ্ছেমতো পানি ছাড়ছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে প্রান্তিক কৃষকদের ওপর।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রধান খালের ওপর প্রায় ১,৩০০ ব্যক্তি অবৈধভাবে জমি দখল করে রেখেছেন। ইতোমধ্যে দখলদারদের উচ্ছেদে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং খুব দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
অন্যদিকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট সরবরাহ করা হবে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে আসছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তাদের আশঙ্কা, খাল দখলমুক্ত না হলে সেচ সুবিধা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে