আজ প্রথম বৈঠকে বসছে জাতীয় বেতন কমিশন

পুরাতন এক নম্বর ভবনের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান।

গত ২৭ জুলাই সরকার ২৩ সদস্যের ‘জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫’ গঠন করে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করাই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে।

নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের পরিবারের গড় সদস্যসংখ্যা ছয় ধরে আর্থিক ব্যয় বিবেচনায় নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিশনের সুপারিশ প্রণয়নে দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব বিবেচনায় রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত সোমবার কমিশন সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

কমিশন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে। তবে শ্রমিকদের বিষয়টি কমিশনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী ২০টি গ্রেডে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।