সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

স্বাধীনতা দিবসে মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, ভারতে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে কসাইখানা ও মাংসের দোকান বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

বিরোধী নেতারা একে নাগরিকদের খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হায়দরাবাদসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলো কসাইখানা ও মাংসের দোকান সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য ও অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (এআইএমআইএম)-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মাংস খাওয়া ও স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের মধ্যে কী সম্পর্ক?” তিনি আরও বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা সংবিধান ও নাগরিক অধিকার—দুয়েরই পরিপন্থী। এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, ধর্ম পালন, পুষ্টি ও জীবিকার অধিকারে হস্তক্ষেপ।”

তেলেঙ্গানার ৯৯ শতাংশ মানুষ মাংস আহার করেন উল্লেখ করে ওয়াইসি বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু বৈষম্যমূলকই নয়, বরং একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মূল্যবোধের বিরুদ্ধেও।”

মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগর ও থানের কল্যাণ-ডোম্বিভালি পৌরসভা থেকেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় রাজ্যের রাজনীতিতেও শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, “বড় শহরে বহু ধর্মের মানুষ বাস করেন। এমন সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়। এটি ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী।”

শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেন, “কী খাব তা নির্ধারণ করার অধিকার কোনো পৌর কমিশনারের নেই। বরং কমিশনারদের নাগরিক সমস্যাগুলোর দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের ঘরে এমনকি নবরাত্রিতেও চিংড়ি ও মাছ প্রসাদ হিসেবে থাকে। এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। কে কী খাবে, তা বলার অধিকার কারও নেই।”

বিতর্কের মাঝেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষ থেকে অনুমোদিত নয়। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার মুখপাত্র অরুণ সাওয়ান্ত বলেন, “বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারকে বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টা করছে।”

সার্বিকভাবে, স্বাধীনতা দিবসের মতো জাতীয় উৎসবে এমন নিষেধাজ্ঞা কতটা যৌক্তিক—তা নিয়ে ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। এটি কি জনসংখ্যার একটি অংশের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া, নাকি এক ধরনের সাংস্কৃতিক কর্তৃত্ববাদ? প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরাও।

১২৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন