সর্বশেষ

সারাদেশ

সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধে অবৈধ ‘নাইন্টি পাইপ’ উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ছিদ্র করে স্থাপন করা অবৈধ ‘নাইন্টি পাইপ’ অপসারণে অভিযান শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় প্রশাসন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানের মাধ্যমে বহুদিন ধরে বাঁধের ভেতর দিয়ে চিংড়ি ঘেরে পানি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাইপগুলো অপসারণ করা হচ্ছে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বাঁধে গর্ত করে বসানো এসব পাইপের মাধ্যমে ঘের মালিকরা নিয়মবহির্ভূতভাবে পানি তুলছিলেন, যা বাঁধের স্থায়িত্বের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী উপকূল রক্ষা বাঁধ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ হলেও অনেকেই তা অমান্য করে বাঁধ ঘেঁষেই ঘের তৈরি করেছেন।

অভিযান শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা দাবি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যেন কেউ আর এভাবে বেড়িবাঁধকে ঝুঁকির মুখে না ফেলে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার জানান, শ্যামনগরের ৫ নম্বর পোল্ডারের আওতাধীন আটুলিয়া ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে মঙ্গলবার থেকেই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “মাননীয় উপদেষ্টা (পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়) এর নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ পাইপ সরানো হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ ধরনের অবৈধ স্থাপনা ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।”

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনী খাতুন জানান, “পাউবো’র বাঁধে অবৈধভাবে কোনো পাইপ বসানোর সুযোগ নেই। যেসব পাইপ বাঁধের ক্ষতি করছে, সেগুলো দ্রুত উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পরিবেশ ও উপকূল রক্ষায় এ অভিযান চলমান থাকবে।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কিছু প্রভাবশালী ঘের মালিক দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম ভেঙে বাঁধে পাইপ স্থাপন করেছিলেন। এর ফলে নদীর জোয়ারের পানি সহজেই গ্রামে ঢুকে পড়ে, চাষাবাদ ও বসতঘর হুমকির মুখে পড়ে।

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন