সর্বশেষ

স্বাস্থ্য

কিডনিতে পাথর: কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কিডনিতে পাথর হলে তার যন্ত্রণা কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা যারা একবারও ভোগ করেছেন, তারা ভালোই জানেন। হঠাৎ শুরু হওয়া এই ব্যথা অনেক সময় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।

তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব— বলছেন চিকিৎসকেরা।

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে প্রক্রিয়াজাত ও অসুস্থকর খাবারের প্রতি নির্ভরতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও। খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনলেই এই ঝুঁকি অনেকটা কমানো যায়।

এড়িয়ে চলুন যেসব খাবার ও অভ্যাস:

 

১. অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবার সাবধানে খান
বাঁধাকপি, বিট, আলু, ঢেঁড়শ, বাদাম— এসব খাবারে থাকে প্রচুর অক্সালেট। শরীরে এটি ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে তৈরি করতে পারে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন। তবে এসব উপকারী খাবার একেবারে বাদ না দিয়ে, খাওয়ার সময় দুধ বা দইয়ের মতো ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। এতে অক্সালেট শরীরে শোষিত না হয়ে বেরিয়ে যাবে।

২. প্রাণিজ প্রোটিনের অতিরিক্ত গ্রহণ
রেড মিট, মুরগি, কলিজা, এমনকি বেশি তেলযুক্ত মাছও ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়, ফলে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামও বেড়ে যায়। এর বদলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন ডাল, ছোলা, সয়াবিন বেছে নিন।

৩. বেশি লবণ খাওয়া
অতিরিক্ত লবণ কিডনিকে বাড়তি ক্যালসিয়াম তৈরি করতে বাধ্য করে, যা জমে পাথর তৈরি করে। তাই খাবারে লবণ পরিমাণমতো ব্যবহার করুন, প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, সস, ফাস্টফুড) যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৪. মিষ্টি পানীয় ও সফট ড্রিংকস
কোল্ড ড্রিংকস, ফলের জুস, এনার্জি ড্রিংকে থাকা হাই ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ প্রস্রাবে রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট করে এবং পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল
চা, কফি ও মদ্যপানে শরীরের পানির মাত্রা কমে যায়, ফলে কিডনিতে পাথর জমার পরিবেশ তৈরি হয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।

৬. ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্টে সতর্কতা
৫০০ মি.গ্রা. বা তার বেশি ভিটামিন সি নিয়মিত খেলে শরীরে অক্সালেট বাড়ে। বিশেষ করে যারা আগে কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক হতে পারে। সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৭. পানি কম খাওয়া
কম পানি পান করলে কিডনির মধ্য দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে বর্জ্য বের হতে পারে না। দিনে অন্তত ২–৩ লিটার পানি পান করলে প্রস্রাবের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যাবে এবং পাথর তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

✅ কিডনি ভালো রাখতে যা করবেন:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন
খাবারে লবণ ও প্রক্রিয়াজাত উপাদান কমান
ব্যালান্সড ডায়েট মেনে চলুন
যেকোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন