চলে গেলেন প্রবীণ অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
টালিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় আর নেই। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায় কলকাতায় নিজ বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় প্রায় ছয় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসার শুরু থেকেই আইসিইউতে রাখা হয় তাঁকে। শরীরে পেসমেকার বসানো ছিল, কিডনি সমস্যার কারণে চলছিল নিয়মিত ওষুধ সেবন। চিকিৎসা ব্যয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকার ওষুধ ব্যবহার করতে হতো তাকে। অবশেষে নিজের বাড়িতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (টুইটার)-এ দেওয়া শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন,
“প্রবীণ টেলিভিশন অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার মৃত্যুতে আমাদের শিল্প ও বিনোদনের জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধু ও অনুরাগীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
নাট্যজগত থেকে সিনেমা— সর্বত্রই আলো ছড়িয়েছেন
বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল মঞ্চ থেকে। এরপর টেলিভিশন এবং বড় পর্দায় সমানভাবে অভিনয় করে জায়গা করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। মহানায়ক উত্তম কুমারের বিপরীতে যেমন অভিনয় করেছেন, তেমনি পরবর্তী প্রজন্মের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তদের সঙ্গেও কাজ করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে—
‘মঞ্জরী অপেরা’, ‘ঠগিনী’, ‘আলো’, ‘বরণ’, ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’, ‘ভূতু’ প্রভৃতি।
টেলিভিশনে ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ সিরিয়ালের ঠাকুরমার চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
শেষ কাজ ও অসুস্থতা
২০২4 সালের শুরুতে ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকের শুটিং চলাকালেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় তাকে। ওই সিরিয়ালটিই ছিল তার শেষ অভিনীত প্রজেক্ট।
চলে গেলেন এক জীবন্ত চরিত্রশিল্পী
বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্যজগৎ হারাল এক শক্তিশালী ও বহুমুখী প্রতিভাকে। তার অসংখ্য স্মরণীয় চরিত্র এবং মানবিক অভিনয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হয়ে থাকবে অনুপ্রেরণা।
১০৯ বার পড়া হয়েছে