সর্বশেষ

জাতীয়

রেহানা, টিউলিপ, আজমিনা ও রাদওয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ৬:১২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে তিনটি পৃথক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। যেখানে প্রধান অভিযুক্তরা হলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি)।

এই মামলাগুলোর বিচার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ পরিচালিত হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার এই সাক্ষ্যপ্রক্রিয়া শুরু হয়। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য (এমপি) এবং দেশটির সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’। তবে, এখন তিনি বাংলাদেশে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে, ১১ আগস্ট, দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অন্যান্য তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এছাড়া, ৩১ জুলাই ঢাকার দুই বিশেষ জজ আদালত এই অভিযোগ গঠন করে, যেখানে শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ আনা হয়। এই মামলার মধ্যে তিনটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ আগস্ট এবং আরও তিনটির জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা।

দুদক জানিয়েছে, শেখ হাসিনা পরিবারের বাইরে আরও ১৬ জন অভিযুক্ত রয়েছেন, যেমন- তখনকার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সাবেক রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া, সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। তদন্তে দেখা গেছে, শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যরা মিথ্যা হলফনামা দিয়ে জমি বা বাড়ি কিছুই নেই বলে উল্লেখ করলেও, অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের নামে বহু বাড়ি, জমি ও গাড়ি রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা রাজউকের ৬০ কাঠার প্লট নিয়েছে, যা একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এই ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাবও রয়েছে।

দুদকের পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া ছয় মামলায় শেখ হাসিনা ও অন্যদের আদালতে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে, এই মামলাগুলো বিচারের জন্য দুটি আলাদা আদালতে স্থানান্তরিত হয়। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দকৃত প্লটের বিষয়টি ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুসন্ধান শুরু হয়। এরপর, ১০ মার্চ, এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অভিযোগপত্র অনুমোদন করে, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট নিয়েছেন তারা।

১৩২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন