চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো সম্প্রদায়ের পানি সংকটে পাশে দাঁড়ালো ধ্রুবতারা

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫ ৭:৫০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের পাবলা হেডম্যান পাড়া ও বাগানপাড়ার ম্রো সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরেই চরম পানি সংকটে ভুগছে।
বর্ষা মৌসুমে পানি ঘোলা হয়ে পড়ে আর শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝিরিগুলো পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এতে প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে দূরবর্তী স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয় গ্রামবাসীদের। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য এটি পরিণত হয়েছে এক অসহনীয় দুর্ভোগে।
এই সংকটের সমাধানে এগিয়ে এসেছে ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। গত ১০ আগস্ট (রবিবার) সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল পরিদর্শন করে ম্রো সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ধ্রুবতারার প্রধান নির্বাহী ও UNCCD-এর CSO প্যানেল সদস্য অমিয় প্রাপন চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চল বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. আরিফ, ধ্রুবতারার বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি বর্ধন মারমা, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তনয়া ম্রো এবং কোষাধ্যক্ষ ও ধ্রুবতারা আইসিটি সম্পাদক সাবেক মাংইয়ং ম্রোসহ আরও অনেকে।
পাহাড়ি গ্রামগুলোর বাস্তব অবস্থা প্রত্যক্ষ করে প্রতিনিধি দলটি স্থানীয়দের সঙ্গে পানি সংকট, শিক্ষা এবং অন্যান্য সামাজিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে। এতে স্থানীয়রা তাদের সমস্যার কথা খোলামেলাভাবে তুলে ধরেন।
অমিয় প্রাপন চক্রবর্ত্তী বলেন, “এই সংকট শুধুই অবকাঠামোগত উন্নয়নের ঘাটতি নয়, এটি মৌলিক অধিকার—পানি পাওয়ার অধিকার। ত্রাণ দিয়ে সাময়িক সুরাহা নয়, বরং স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানই হতে পারে উত্তরণের পথ।”
তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন প্রকল্প গ্রহণ করে ধ্রুবতারা এই অঞ্চলে কাজ শুরু করবে। এ লক্ষ্যে দাতা সংস্থা ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি বিশ্বাস করে, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব, এবং এই উদ্যোগ হতে পারে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।
১০৬ বার পড়া হয়েছে