সর্বশেষ

রাজনীতি

অন্তত ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে: সাবেক সচিব সাত্তার

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫ ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তত আটজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন সাবেক সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

তিনি বলেন, এসব উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা বদলি হচ্ছে না।

শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে “জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন” শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আয়োজিত এ আয়োজনে প্রশাসন ক্যাডারের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগ
আব্দুস সাত্তার বলেন, “এক উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় কি নূরজাহান বেগমের মতো একজন অনভিজ্ঞ উপদেষ্টার মাধ্যমে চালানো উচিত?”

সাবেক এই সচিব দাবি করেন, বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দুর্নীতি এখন নিয়মনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি স্কুলের জমির নামজারির জন্য ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছেন, আর ঢাকার কাছে এক ইউএনও একটি কারখানার অনুমোদনের জন্য ২০ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছেন।

বিএনপি অফিসে কর্মকর্তাদের ভিড়
আব্দুস সাত্তার বলেন, “গত ৫ আগস্টের পর হাজার হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী বিএনপির অফিসে ভিড় করতে থাকেন। তারেক রহমান জানতে চান, ‘তাঁরা কেন আসছেন?’ আমি বলেছি, তাঁরা গত ১৫ বছর ধরে বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর নির্দেশ আসে অফিসে ইন-সার্ভিস কর্মকর্তা প্রবেশ না করতে পারে—এমন নোটিশ টানিয়ে দিতে। আমি তাই করেছি।”

গোয়েন্দা তথ্য ও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের যে আটজন উপদেষ্টা দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও তথ্য আছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

সেমিনারের অন্যান্য দিক
সেমিনারে বিগত সরকারের সময়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও দুর্নীতির প্রসঙ্গ ওঠে আসে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন কি না। তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়।

প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলা, অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির, অধ্যাপক শাফিউল ইসলামসহ আরও অনেকে। শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি কর্মকমিশনের সচিব সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম।

১১৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন