সর্বশেষ

সারাদেশ

তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর, ফের বন্যার আশঙ্কা জেগেছে

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী প্রতিনিধি

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫ ৩:৩২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
অতীত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজানে থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের জন্য নির্ধারিত বিপৎসীমা ৫২.১৫ সেন্টিমিটার।

এই পরিস্থিতিতে লালমনিরহাটসহ চার জেলার নদীতীরবর্তী এলাকা নতুন করে বন্যার প্রভাব থেকে সতর্ক থাকছে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিস্তার পয়েন্টে পানির স্তর ৫২.১৫ মিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ডালিয়ায় পানির পরিমাণ ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পানির ধারা ধীরগতিতে বাড়ছে।

অপরদিকে, ভারতের উজানে পশ্চিমবঙ্গের দোমোহনী ও গজলডোবা এলাকায় পানির স্তর কিছুটা কমেছে। দোমোহনীতে সকালে ছিল ৮৫.৫৯ মিটার, আর রাত ৮টায় তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৮৫.৫২ মিটারে। এই ১১ ঘণ্টায় পানিতে পতন এসেছে ৭ সেন্টিমিটার। একই সময়ে গজলডোবার ব্যারাজে পানির স্তর ৫ সেন্টিমিটার কমেছে।

উজানে পানির প্রবণতা থাকলেও রাত ১২টা পর্যন্ত তিস্তা নদীতে পানি কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর পানি স্তর স্থির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা অববাহিকায় ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে নদীর পানি আবারও বেড়ে যেতে পারে এবং নতুন করে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

বিশেষ করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে এই ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, পানি কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা এখনো নেই। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন