গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা: তদন্ত নেমেছে পুলিশ, চলছে সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫ ৩:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ দুইটি মূল কারণ সামনে আনছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। প্রথমটি হলো, ঘটনাস্থলে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ এবং দ্বিতীয়টি হলো পূর্বশত্রুতার বিষয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত চারজনকে চিহ্নিত করেছে এবং তাঁদের মধ্যে চারজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান (কেটু মিজান), তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। এরা সবাই ছিনতাইকারী দলের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এর আগে, পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছিল।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণের মধ্যে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এক দোকানে আসাদুজ্জামান ও তাঁর সহকর্মী শামীম হোসেন ছিলেন। ওই ফুটেজে দেখা যায়, একটি নারী ও এক ব্যক্তি ধস্তাধস্তি করেন, এবং সেই সময় আসাদুজ্জামান তাঁর মোবাইল দিয়ে দৃশ্য ধারণ করছিলেন। আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে, মূলত ভিডিও ধারণের কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
ঘটনার সময়ের ফুটেজে দেখা যায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে। সেই দৃশ্যের পেছনে থাকা আসাদুজ্জামান পেছন থেকে ভিডিও করছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতের বিভিন্ন অভিযানে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে, যারা ছিনতাই ও সন্ত্রাসী দলের সদস্য।
একইসঙ্গে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি দোকানে আসাদুজ্জামান ও তাঁর সহকর্মী শামীম হোসেন ছিলেন। সেখানে ওই সময় এক নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে, ওই পুরুষ, বাদশা মিয়া, বলেন, তাদের টিম টাকা নিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই এলাকায় ছিনতাইকারীর এক বড় চক্র সক্রিয়, যারা বিভিন্ন ফাঁদ পেতে ছিনতাই করে। এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে হত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিভিন্ন সংগঠন ও পেশাজীবীরা বিক্ষোভ করেন এবং দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। ঢাকায়ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন হয়, যেখানে সাংবাদিকেরা হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, গাজীপুরের বাসন থানায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের বড় ভাই মো. সেলিম মামলা করেন। এদিকে, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাঁর জানাজা সম্পন্ন হয় এবং সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়িয়ায় দাফন করা হয়। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছে সাংবাদিক সমাজ।
অন্যদিকে, গাজীপুরে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি হলেন মো. ফরিদ, সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনা একটি মামলার মাধ্যমে তদন্তাধীন।
১১০ বার পড়া হয়েছে