গেরিলা প্রশিক্ষণ কাণ্ডে সুমাইয়া জাফরিন ৫ দিনের রিমান্ডে

বৃহস্পতিবার , ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর কেবি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত গোপন বৈঠক ও গেরিলা প্রশিক্ষণ আয়োজনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমাইয়ার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে এবং আসামিপক্ষ জামিন ও রিমান্ড বাতিলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ডিবির একটি দল সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় এবং মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে ভাটারা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কেবি কনভেনশন হলে গোপন বৈঠক ও গেরিলা প্রশিক্ষণ আয়োজনের ঘটনায় সুমাইয়া জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৮ জুলাই কনভেনশন সেন্টারে একটি গোপন বৈঠকের মাধ্যমে সরকারবিরোধী নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়। দিনব্যাপী সেই আয়োজনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৪০০ জন কর্মীকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর বিষয়টি জানাজানি হলে সারাদেশে আলোচনার ঝড় ওঠে। এরপর গোপন বৈঠকের আয়োজনে জড়িত গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা, বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও মেহেরপুরের যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান রিটনকে ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, পুরো পরিকল্পনার মূল হোতা ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর সাদেকুল হক। তার স্ত্রী সুমাইয়াও এতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) হিসেবে প্রচারিত হলেও পরে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এই নামে কোনো নারী কর্মকর্তা পুলিশের তালিকায় নেই।
এদিকে মেজর সাদেকুল হককে এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
১১৮ বার পড়া হয়েছে