‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালা শুরু, দিনভর চলবে সাংস্কৃতিক উৎসব

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ ৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে শুরু হয়েছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ উৎসব।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত এবং সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালা।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এই উৎসবে সারা দিনব্যাপী চলছে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, কনসার্ট, ঘোষণাপত্র পাঠ ও আলোকশিল্প প্রদর্শনী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় পুরো অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সকাল থেকে সন্ধ্যা—ঘনঘন আয়োজন
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। এরপর ১১টা ৪০ মিনিটে মঞ্চে ওঠে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী। বেলা ১২টা ৫ মিনিটে বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাহিদ ইসলাম। এর ঠিক পরেই সংগীত পরিবেশন করেন তরুণ শিল্পী তাশফি।
দুপুরে নামাজের বিরতি শেষে মঞ্চে পারফর্ম করে চিটাগাং হিপহপ হুড, সেজান এবং শূন্য ব্যান্ড। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন—যা ছিল দিনটির অন্যতম রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন।
এরপর একে একে মঞ্চ মাতান সায়ান (২:৪০PM), ইথুন বাবু ও মৌসুমি (৩:০০PM), ব্যান্ড সোলস (৩:৩০PM) এবং ওয়ারফেজ (৪:০০PM)। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে আসরের নামাজের বিরতির পর পুনরায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
ঘোষণাপত্র পাঠ, ড্রোন শো ও আর্টসেলের পরিবেশনা
বিকেল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সন্ধ্যার আয়োজন পরিণত হয় এক বিশেষ আবহে।
সন্ধ্যা ৫:৩০PM থেকে শুরু হয় বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল, এফ মাইনর (৫:৫০PM), এবং পারশা (৬:১৫PM)-এর পরিবেশনা। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর সন্ধ্যা ৭টায় গান পরিবেশন করেন এলিটা করিম।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় দিনটির সবচেয়ে প্রত্যাশিত পরিবেশনা—ড্রোন প্রযুক্তি দিয়ে নির্মিত স্পেশাল ড্রোন ড্রামা ‘ডু ইউ মিস মি’। এরপর আকাশ আলোকিত করে তোলে ড্রোন শো। রাতের শেষ আয়োজন হিসেবে মঞ্চে ওঠে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল, যারা গান পরিবেশনার মাধ্যমে দিবসটির পর্দা নামাবে।
নিরাপত্তা ও দর্শনার্থীদের ঢল
অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান উপভোগে সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আয়োজকরা বলছেন, “এই দিনটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, এটি গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়ের প্রতীক।”
১০৬ বার পড়া হয়েছে