কিউআর কোডেই সাইবার ফাঁদ! সতর্কবার্তা এফবিআই-এর

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫ ৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে QR কোড স্ক্যান করে ওয়েবসাইট খোলা, রেস্টুরেন্টের মেন্যু দেখা কিংবা পার্কিং বিল পরিশোধ করা—এখন অনেকেরই অভ্যাস।
কিন্তু এই নিরীহ দেখানো কোডের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর বিপদ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই (FBI) এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, QR কোডকে ব্যবহার করে এখন চালানো হচ্ছে বড় ধরনের সাইবার প্রতারণা।
বাসায় ডেলিভারির ছলে স্ক্যাম
এফবিআই জানিয়েছে, প্রতারকেরা এখন 'অনাকাঙ্ক্ষিত পার্সেল' পাঠিয়ে প্রতারণা করছে। এসব পার্সেলে প্রেরকের কোনো পরিচয় থাকে না, কিন্তু থাকে একটি QR কোড। কোডটি স্ক্যান করলেই ব্যবহারকারীকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ভুয়া ওয়েবসাইটে, যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড নম্বর চাওয়া হয়। অনেক সময় কোড স্ক্যানের সঙ্গে সঙ্গেই ফোনে ম্যালওয়্যার ইন্সটল হয়ে যায়, যা ফোনের সব তথ্য চুরি করে ফেলতে পারে।
এই পদ্ধতিকে এফবিআই তুলনা করেছে পুরনো ‘ব্রাশিং স্ক্যাম’-এর সঙ্গে, যেখানে ব্যবহারকারীর অজান্তে তার নামে পণ্য পাঠিয়ে জাল রিভিউ বা তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
কী করবেন? কী করবেন না?
এফবিআই ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ:
-অচেনা উৎস থেকে পাওয়া QR কোড স্ক্যান করবেন না।
-যে পার্সেলের প্রেরক পরিচয় নেই, তা খুলবেন না।
-অজানা ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্য দেবেন না।
-QR কোড স্ক্যানের আগে যাচাই করুন এটি নিরাপদ কি না।
Zimperium নামের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার গবেষক নিকো কিয়ারাভিগলিও জানান, QR কোড এখন কেবল তথ্যের মাধ্যম নয়, বরং সাইবার হামলার এক নতুন পথ। ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা প্রতারকদের বড় অস্ত্র হয়ে উঠছে।
যদি শিকার হন?
-QR কোড স্ক্যাম বা ব্রাশিং প্রতারণার শিকার হলে—
-দ্রুত আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
-ব্যাংক বা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে সতর্কতা নিন।
প্রয়োজনে সাইবার অপরাধ ইউনিট বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে অভিযোগ করুন।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করছে ঠিকই, কিন্তু সচেতনতা না থাকলে একই প্রযুক্তি হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর বিপদের উৎস।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
১৩৩ বার পড়া হয়েছে