কালামপুর-সাটুরিয়া সড়ক উন্নয়নে ধীরগতি, দুর্ভোগে লাখো মানুষ

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫ ৫:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর থেকে সাটুরিয়া গর্জনা নর্থ পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নয়ন কাজের ধীরগতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা।
প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কাজও সম্পন্ন হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত যানবাহন ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। উন্নয়ন কাজ অসম্পূর্ণ রেখে সড়কের বিভিন্ন অংশে খনন করে ফেলে রাখায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত, জমেছে পানি। ফলে কিছু অংশ হয়ে পড়েছে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। ১৫ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে এখন সময় লাগছে এক ঘণ্টারও বেশি। বাড়তি দুর্ভোগে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব পায় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এনডিইল)। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির গাফিলতির কারণেই প্রকল্পে এই ধীরগতি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, “এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ চলাচল করে। এখন সড়কের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই এটা আঞ্চলিক মহাসড়ক।”
কালামপুর, মহিষাশীসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক এখন চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। কোথাও কোথাও বাড়ি পৌঁছাতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকু ব্যবহার করে। কালামপুর বাসস্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাস্তার কাজ শুরুর আগেই অবস্থা ভালো ছিল। উন্নয়নের নামে আমাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।”
এই বিষয়ে কথা বলতে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ডিপোতে গেলে কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
তবে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহারিয়ার আলম জানান, “ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা ও ঈদ উপলক্ষে কাজ বন্ধ থাকার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্রুত সড়কটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।”
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে প্রায়শই যানজট থাকায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক যানবাহন এখন কালামপুর-সাটুরিয়া সড়ক ব্যবহার করছে। ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
স্থানীয়দের একটাই দাবি—অত্যাবশ্যকীয় এই সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার ও উন্নয়ন সম্পন্ন করে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হোক।
১৩৮ বার পড়া হয়েছে