কবর কবিতার শতবর্ষ পুর্তি

রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কবি জসীমউদ্দীনের কবর কবিতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আজ (শনিবার) বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এক আলোচনার আয়োজন করে।এ উপলক্ষে একটি গ্রন্থ ও প্রকাশিত হয়।
বিদগ্ধ পন্ডিত লেখকগন কবর কবিতাটি এবং জসীমউদ্দীনের জীবনের অনেক কিছু আলোকপাত করেন। ১৯২৫ সালে কল্লোল পত্রিকায় প্রথম কবিতাটি ছাপা হয়। কল্লোল ছিল ত্রিশের কবিদের পত্রিকা। ত্রিশের কবিদের আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। সেই পত্রিকায় কবর কবিতাটি ছাপা হওয়া মানে স্বীকৃতি দেয়া। প্রকাশের পর পরই কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
শিক্ষিত বাঙালি মাত্রই কবর কবিতা অবশ্যই আবেগ আপ্লুত হয়ে পাঠ করেছেন। স্বগতোক্তি আকারে বলে যাওয়া এক বৃদ্ধের একে একে স্বজন হারানো বিয়োগান্ত কাহিনী।
ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ( প্রধান অতিথি) , বহুমাত্রিক লেখক আন্দালিব রাশদী, ফারুক মঈনুদ্দিন, কাকলি মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, আব্দুস সামাদ প্রমুখ। বিদগ্ধ আলোচকদের কাছ থেকে আমি জসীমউদ্দীনের সাহিত্য ও কৃতিত্ব সম্পর্কে আরো অনেক কিছু শুনতে চেয়েছিলাম। অবশ্য মূল প্রসঙ্গ যেহেতু ছিল কবর কবিতাটি তাই সেটা ঘিরেই সব কিছু আবর্তিত হয়েছে ধারণা করি।
প্রাসঙ্গিকভাবে আমার মনে পড়লো ১৯৭৬ সনে কবি জসীমউদ্দীন যখন মারা যান, বাংলা একাডেমীতে যে শোক সভা হয়েছিল সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামটি এখন মনে নেই, তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে জীবনের শেষের দিকে অনেক দৈনিক পত্রিকায় কবি জসিম উদ্দিন কবিতা পাঠালেও উনারা ছাপতেন না। বলতেন এখন এই ধরনের কবিতা চলে না।
শতবর্ষে কবর শিরোনামে একটি গ্রন্থ বের করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এটার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বাইরে বইটি বিক্রি হচ্ছিল। পাঁচশত টাকা দিয়ে এক কপি কিনেই ফেললাম। নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের লেখায় সমৃদ্ধ হবে এই গ্রন্থটি।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যদিও কবি জসীমউদ্দীন শুধু ফরিদপুরের নন, তিনি বাংলা ভাষাভাষী সবার।
১৫৪ বার পড়া হয়েছে