সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পেলে অস্ত্র ছাড়বে না হামাস

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫ ৫:২৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত হামাস কোনো নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয়, জানিয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।

যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইসরায়েলের অন্যতম দাবি ছিল হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ–এর মন্তব্যের জবাবে হামাস জানায়, তারা এখনই অস্ত্র পরিত্যাগ করবে না।

উইটকফ দাবি করেছিলেন, “হামাস অস্ত্র সমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।” এর প্রতিক্রিয়ায় হামাস জানায়, জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি পূর্ণ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র ছাড়বে না। তারা একে “প্রতিরোধের অধিকার” বলে অভিহিত করেছে।

শান্তি আলোচনা স্থবির, আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে
বিবিসি জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় নিয়ে চলা পরোক্ষ আলোচনা গত সপ্তাহে থমকে গেছে। এ অবস্থায় আরব দেশগুলোসহ ফ্রান্স ও কানাডা হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ অন্যপন্থায় হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যও হুঁশিয়ার করেছে, ইসরায়েল যদি নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে।

হামাসের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও তারা তাদের অবস্থানে অনড়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত “সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসেবে বিবেচিত হলেও হামাস বলছে— “প্রতিরোধ এবং অস্ত্রধারণ আমাদের অধিকার, যা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত বজায় থাকবে।”

গাজায় মানবিক সংকট, ইসরায়েল চাপের মুখে
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ১,৩৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার বেশিরভাগই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় ইসরায়েল হামাসকেই দোষারোপ করেছে, বলেছে সেনারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্য করেনি।

অন্যদিকে, ইসরায়েল সরকার দাবি করছে, গাজায় কোনো ‘অনাহার’ নেই এবং তারা ত্রাণ প্রবেশে কোনো বাধা দিচ্ছে না।

এদিকে, উইটকফ বর্তমানে ইসরায়েলে অবস্থান করছেন। তিনি তেলআবিবে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং বলেন,

“আংশিক সমঝোতা নয়, বরং স্থায়ী সংঘাত সমাধান এবং সকল জিম্মির নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করাই এখন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”

 

গাজার বিপর্যস্ত পরিসংখ্যান
৭ অক্টোবর ২০২৩: হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত, ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়
পাল্টা অভিযানে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত
গাজায় ৯৩ শিশুসহ ১৬৯ জন অপুষ্টিতে মারা গেছে, জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (IDF) লে. জেনারেল ইয়াল জামির বলেছেন, জিম্মি মুক্তির আলোচনা ব্যর্থ হলে গাজায় সামরিক অভিযানই একমাত্র বিকল্প।

১৪৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন