কেরানির চাকরি, কিন্তু ২৪টি বাড়ি ছাড়াও ৩০ কোটির সম্পত্তির মালিক!

শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মাত্র ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেও ৩০ কোটিরও বেশি সম্পত্তির মালিক এক প্রাক্তন কেরানি—এমন বিস্ময়কর তথ্য সামনে এসেছে কর্ণাটক লোকায়ুক্তের সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে।
অভিযুক্তের নাম কালাকাপ্পা নাইদাগুন্ডি। তিনি কর্ণাটক রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (KRIDL)-এ কেরানির পদে কর্মরত ছিলেন।
লোকায়ুক্তের কর্মকর্তারা সম্প্রতি নাইদাগুন্ডির বাড়িতে হানা দিয়ে আবিষ্কার করেন তার নামে থাকা ২৪টি আবাসিক ভবনের দলিল, ৪০ একর কৃষিজমি, চারটি প্লট, প্রায় ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার (৩৫০ গ্রাম), দেড় কেজিরও বেশি রুপা, দুটি গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল। এসব সম্পত্তির মালিকানা নাইদাগুন্ডি ছাড়াও তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামে রয়েছে।
তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে—নাইদাগুন্ডি ও KRIDL-এর প্রাক্তন এক প্রকৌশলী জেডএম চিনচোলকার মিলে অন্তত ৯৬টি অবকাঠামোগত প্রকল্পের নামে জাল বিল তৈরি করে প্রায় ৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নথিপত্র বিশ্লেষণে এই তথ্য মিলেছে।
এই অভিযানটি কর্ণাটক রাজ্যজুড়ে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ, যার অধীনে ইতোমধ্যেই তদন্তের আওতায় এসেছেন আরও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে আছেন বেঙ্গালুরুর উদ্যানবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, জাতীয় সড়ক বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী, চিত্রদুর্গ জেলার হিরিয়ুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিবিএমপির এক কর নির্ধারক।
এই তল্লাশি ও তদন্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিপিআই পরশুরাম কাভাতাগি, ডিএসপি পুষ্পলতা ও অফিসার পিএস পাটিল। তদন্ত এখনও চলমান, এবং নাইদাগুন্ডির বিপুল সম্পদের উৎস ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখছেন কর্মকর্তারা।
১০৯ বার পড়া হয়েছে