বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম এখন বৈষম্যের কারণ: রাশেদ খান

শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫ ৯:১০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটি এখন বৈষম্য সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
তিনি এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এই প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তাও ব্যক্ত করেছেন।
শনিবার (২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটি এখন বৈষম্য সৃষ্টি করছে। তাই এর পবিত্রতা রক্ষায় এটি স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা উচিত। এই প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান হলেও, মাত্র এক বছরে সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধির পদে চাঁদাবাজি, তদবিরবাজি, প্রমোশন এবং পদোন্নতি নিয়ে অবৈধ কার্যকলাপ চলে এসেছে। এর ফলে এই প্ল্যাটফর্মের সুনাম ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের’ মতো অশুভ অবস্থায় দাঁড়িয়ে গেছে।’
গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা এই প্ল্যাটফর্মের এমন দুঃখজনক অবস্থা কারো প্রত্যাশার বাইরে ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একটি সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটিকে ইতিহাসের পাতায় সংরক্ষণ করা উচিত ছিল যাতে সবাই এটি নিজেদের বলে গর্ব করতে পারে।’
রাশেদ খান আরও জানান, ‘যত বেশি নেতিবাচক মনোভাব এই প্ল্যাটফর্ম ও সমন্বয়ক পদ নিয়ে তৈরি হবে, তত বেশি মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা প্রশমিত হবে এবং জুলাই মাসের আগ্রহ ও প্রত্যাশা ম্লান হয়ে যাবে। কিন্তু যাদের উদ্দেশ্য প্ল্যাটফর্মটিকে বিতর্কে ফেলা, তারা সফল হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র সংগঠক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বিতর্কে না পড়ার পরামর্শও দেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে যারা মূল্যায়ন পায়নি, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, বৈষম্য সৃষ্টি করেছে এবং গণঅভ্যুত্থানের অংশ থেকে বঞ্চিত করেছে, তারা এখন কুক্ষিগত এই প্ল্যাটফর্মের সুনাম ফেরাতে সবাইকে ডেকে নিয়েছেন। কিন্তু সবাই সেখানে গেলে নিজেদের অপমান করা হবে। ন্যূনতম আত্মসম্মান থাকা উচিত। এক বছর পর তাদের উপলব্ধি হয়েছে যে, এই প্ল্যাটফর্ম বাঁচানোর জন্য সবাই প্রয়োজন, আগে এটা তারা ভাবেনি।’
১০৬ বার পড়া হয়েছে