সারাদেশ

চট্টগ্রামে বাড়ছে ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫ ৭:১২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চট্টগ্রামে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ রোগী ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।

চিকিৎসকদের মতে, এবারের ভাইরাস জ্বরের মৌসুমে এই দুটি রোগই সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৯ জন। মারা গেছেন ৯ জন। সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে, যেখানে ৭৪ বছর বয়সী হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা শিবুচরণ ভৌমিক মারা যান।

এদিকে, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে এক হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,০৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। তবে সরকারি পর্যায়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব না থাকায় এবং বেসরকারি পর্যায়ে পরীক্ষার খরচ বেশি হওয়ায় অনেক রোগীই টেস্ট করাতে পারছেন না, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসকদের মতে, চার ধরনের ভাইরাস জ্বর এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে উচ্চ জ্বর, অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা, এবং কখনো জয়েন্ট ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর সেরে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন জয়েন্টে ব্যথা থেকে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এ এস এম লুৎফুল কবির শিমুল জানান, ‘চিকুনগুনিয়া রোগটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। এবার দেখা যাচ্ছে—ডেঙ্গুর পাশাপাশি অনেক রোগীর শরীরে এই রোগও ধরা পড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, এ থেকে রক্ষা পেতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা জরুরি। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার এবং জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও রোগীর চাপ বাড়ছে।
এপিক হেলথকেয়ারের তথ্যমতে, গত তিন সপ্তাহে তাদের কেন্দ্রে ৫৭৬ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৩২ জনের শরীরে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়।
পার্কভিউ হাসপাতালে গত দুই সপ্তাহে ৫১২ জন জ্বরের রোগীর মধ্যে ৩৪২ জনের শরীরে একই ভাইরাস পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও একই চিত্র—মাত্র এক সপ্তাহে ৭৫ জন রোগীর মধ্যে ৪৬ জনের দেহে চিকুনগুনিয়া পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শহরে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ বেড়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। আমরা তাদের জানিয়েছি এবং উপজেলা পর্যায়েও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

১০৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন