সর্বশেষ

জাতীয়

গুলশানের চাঁদাবাজির মূল আসামি অপুর মোটরসাইকেল জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫ ৬:১৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপির বাসা থেকে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ব্যবহৃত অর্থে কেনা ইয়ামাহা এফজেড-এক্স ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এটি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর মালিকানাধীন বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অপুর বাসায় অভিযান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি বাসা থেকে ৩ লাখ ৭ হাজার টাকায় কেনা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, শুক্রবার সকালে গোপীবাগ এলাকা থেকে অপুর অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের গুলশানস্থ বাসায় ভয়ভীতি দেখিয়ে অপু ও তার সহযোগীরা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এর মধ্যে ১৭ জুলাই প্রথম দফায় ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তারা। পরবর্তী সময়ে ২৬ জুলাই আবার বাসায় গেলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনকে আটক করে। তবে অপু সে সময় পালিয়ে যান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অপু ও তার সহযোগী রিয়াদ বাসা থেকে টাকার ব্যাগ সংগ্রহ করছেন। পরে রিয়াদসহ বাকি চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে তারা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে নেওয়ার বিষয় স্বীকার করে।

রিয়াদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাড্ডার বৈকাল এলাকায় তার ভাড়া বাসা থেকে প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নাখালপাড়ার আরেকটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার একটি চেক ও ২০ লাখ টাকার ১০টি এফডিআর স্লিপ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার বাকি আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ), ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও আমিনুল ইসলাম। এদের সবাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

চাঁদাবাজির মামলায় অপু হচ্ছেন ২ নম্বর আসামি। বর্তমানে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং চাঁদার অর্থের বাকি অংশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন