বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ ইসরাইলের চার স্থানে ইয়েমেনি হামলা

বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই, ২০২৫ ৫:২৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী হুথিরা ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে হামলা চালিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তেলআবিবের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ ইয়াফা, আশকেলন ও নেগেভ এলাকায় পাঁচটি ড্রোন ও একটি প্যালেস্টাইন-২ নামের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা।
বুধবার (৩০ জুলাই) ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, প্রথম ধাপে ইয়াফা এলাকায় দুটি ড্রোন দ্বারা একটি বিশেষ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। পরবর্তী হামলায় আশকেলন ও নেগেভ অঞ্চলে আরও তিনটি ড্রোন ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে।
তারা দাবি করেছে, গাজায় অবরোধ ও আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে।
ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, ইয়েমেনি বাহিনী বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামক নতুন ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়েছে, যার ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
ইয়েমেনের সরকারি সংবাদমাধ্যম আল-মাসিরাহ’র বরাতে জানানো হয়, এই হামলায় লক্ষাধিক ইসরায়েলি নিরাপত্তা বল প্রয়োগ করে পালিয়ে গিয়েছে এবং বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়েছে। ইয়াহিয়া সারি বলছেন, এই অভিযান ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের নৈতিক ও মানবিক দায়বোধের অংশ এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
‘প্যালেস্টাইন-২’ ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রযুক্তিগত বিশদ এখনো প্রকাশ হয়নি, তবে এটি উচ্চগতির ‘হাইপারসনিক’ ক্ষমতা সম্পন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনি হুথি বাহিনী নিয়মিত ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। এবার তারা তেলআবিব শহরে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি তুলেছে।
এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিক্রিয়া বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হামলার সত্যতা প্রমাণিত হলে এটি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৫৫ বার পড়া হয়েছে