জাতীয়

রাজ্জাকসহ ৬ জন মোট ৫ কোটি টাকার ১১টি চেক নিয়েছিল

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই, ২০২৫ ৫:০৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের ভাড়া বাসা থেকে প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার (৩০ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

ডিবি জানায়, গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য উঠে আসে। এরপর রাজধানীর নাখালপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে চেকগুলো উদ্ধার করা হয়।

চেকগুলো কোন প্রতিষ্ঠানের— সে বিষয়ে ডিএমপি কিছু না জানালেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-৬ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান 'ট্রেড জোন' থেকে এই চেক নেওয়া হয়েছে।

ট্রেড জোনের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, রাজ্জাকসহ ছয়জন মিলে তাঁদের কাছ থেকে মোট ৫ কোটি টাকার ১১টি চেক নিয়েছিল। তবে কোনো চেকের বিপরীতে টাকা উত্তোলন করা যায়নি, কারণ ব্যাংক হিসাবে অর্থ ছিল না। সাইফুল অভিযোগ করেন, টাকা না পেয়ে রাজ্জাকরা প্রতিষ্ঠানটির মালিককে হুমকি দিচ্ছিল।

তিনি আরও জানান, জমি বিক্রির খবরে এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে রাজ্জাকরা বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় ট্রেড জোনের গ্রিন রোডের কার্যালয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ১১টি চেকে ৫ কোটি টাকা লিখিয়ে নেয় এবং জোর করে সই করিয়ে নেয়।

রাজ্জাকদের দাবি ছিল, অফিসের নিচে শতাধিক লোক অপেক্ষায় রয়েছে। তারা শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছবি তোলে এবং হুমকি দেয়— এমনটিও উল্লেখ করেন সাইফুল।

গুলশানের ঘটনায় রাজ্জাকসহ চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন— ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক চারজন বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃত সবাই কোনো না কোনো সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংগঠন থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ছাড়া সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি।

ডিবি জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া চেকগুলোর মধ্যে দুটি ১ কোটি করে, একটি ১৫ লাখ ও আরেকটি ১০ লাখ টাকার। এসব চেকে সই ও প্রতিষ্ঠানের সিল থাকলেও গ্রহীতা ও তারিখের ঘর ফাঁকা ছিল।

এদিকে, রাজ্জাকের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার পরিবার হঠাৎ করেই ছাদ ঢালাইসহ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। পুলিশ বলছে, রাজ্জাকসহ চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করত।

এই ঘটনায় কলাবাগান থানায় নতুন একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

১৪৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন