থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ থেকে উদ্ভূত সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।
সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দুই দেশের নেতারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে চলা গোলাগুলি ও পাল্টাপাল্টি হামলায় সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
সকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘সেরি পেরদানা’-তে বৈঠকে বসেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে তিনি আসিয়ানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যদিও বৈঠকের আগে সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার ‘অসৎ উদ্দেশ্যের’ অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে কম্বোডিয়ার অভিযোগ— থাইল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডে ভারী অস্ত্রসহ সৈন্য পাঠিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে।
দুই দেশ একে অপরকে সংঘাতের জন্য দায়ী করলেও এই যুদ্ধবিরতিকে সম্ভাব্য শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, দশকব্যাপী সীমান্ত বিরোধ এবারই সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল।
১১৯ বার পড়া হয়েছে