জাতীয়

আফগানিস্তানে ওষুধ রপ্তানি করবে ইন্দো-বাংলা ফার্মা: ১৫ বছর মেয়াদে চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫ ৮:১৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ইন্দো-বাংলা ফার্মা (IBPL) আফগানিস্তানে ওষুধ রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এই চুক্তির মাধ্যমে তারা আফগানিস্তানের সালার ইউসুফজাই ফার্মা লিমিটেডের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সমঝোতা করেছে, যা আগামী ১৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সম্প্রতি ঢাকায় এক আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির আওতায়, ইন্দো-বাংলা তার মানসম্পন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আফগানিস্তানে সরবরাহ করবে এবং সালার ইউসুফজাই ফার্মা দেশের একমাত্র ও চূড়ান্ত এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে। তারা অন্যান্য কোম্পানিকে এই বাজারে প্রবেশের অনুমতি দেবে না, শুধুমাত্র এই পণ্য বিক্রির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে।

চুক্তি অনুসারে, প্রতি শিপমেন্টে প্রায় ১.৫ লাখ ডলার মূল্যমানের ওষুধ রপ্তানি করা হবে। দ্বিতীয় শিপমেন্টে রপ্তানি করা হবে ২.৮০ লাখ ডলাল মূল্যের ওষুধ। অর্থপ্রদান পদ্ধতি হিসেবে, প্রথমে ৪০% অগ্রিম দিয়ে শিপমেন্টের ১৫ দিন আগে বাকি ৬০% অর্থ পরিশোধ করতে হবে। পণ্য সরবরাহ FOB ভিত্তিতে, চিটাগং থেকে সমুদ্র বা আকাশ পথে আফগানিস্তানে পাঠানো হবে।

অফারটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে, ইন্দো-বাংলা ফার্মার বিক্রয় বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি, আফগানিস্তানের বাজারে তাদের পা রাখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, কোম্পানির আশায়, দীর্ঘমেয়াদে এই রপ্তানি কার্যক্রম তাদের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চুক্তির অন্য শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে, পণ্যের মান নিশ্চিত করা, শেলফ লাইফের মান নির্ধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য প্রতিস্থাপন ও পরিবহন খরচের দায়িত্ব। চুক্তির মেয়াদ ১৫ বছর, যার মধ্যে ত্রৈমাসিক পর্যায়ে অগ্রগতি ও কার্যক্রমের মূল্যায়ন হবে। কোনও পরিবর্তন বা সংশোধনী লিখিত স্বাক্ষর ছাড়া কার্যকর হবে না। চুক্তি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে ইন্দো-বাংলা ফার্মার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এফ.এম অনোয়ারুল হক, এবং সালার ইউসুফজাই ফার্মার পক্ষ থেকে ছিলেন সিইও মুহাম্মদ কাসাম হ্যায়ার। সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ.কে.এম. রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এখন এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদে এই কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন।

এদিকে কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামেও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

১৫০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন