জেএসএস-ইউপিডিএফ সংঘর্ষে নিহত ৪, ইউপিডিএফের দাবি 'গুজব'

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের নারাইছড়ি এলাকার জোড়া সিন্ধু কার্বারি পাড়ায় দুই আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নিহতরা ইউপিডিএফের (প্রসিত খীসা নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) সামরিক শাখার সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে। স্থানীয় সূত্র এবং পুলিশ জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস - সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) সদস্যরা ওই এলাকায় ইউপিডিএফের একটি আস্তানায় হামলা চালায়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়, যা দীর্ঘক্ষণ চলে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, "নারাইছড়ির ডুলুছড়ি এলাকায় সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে চারজন নিহতের কথা জানা গেছে। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।"
তবে ঘটনার সত্যতা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফ।
শনিবার (২৬ জুলাই) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, "এই গোলাগুলির খবর ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। আমাদের কোনো সামরিক শাখা নেই।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি দীঘিনালায় এক ত্রিপুরা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্যই একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে।
পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলমান। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করার পরই প্রকৃত পরিস্থিতি জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
১২৯ বার পড়া হয়েছে