ঝিনাইদহে চেক চুরির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫ ৫:২১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবি পিএলসি) ঝিনাইদহ শাখায় লোন গ্রহণের সময় জমা দেওয়া চেক চুরি হয়ে জালিয়াতি মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী দম্পতি।
শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা ইয়াসমিন আক্তার ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসমিন আক্তার জানান, মহেশপুর পশু হাসপাতাল রোডে ‘সালিম ট্রেডার্স’ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিডিবি পিএলসি ঝিনাইদহ শাখা থেকে ১৮ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় ব্যাংকে জমির দলিল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ৩৭টি স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেক (সিরিয়াল নম্বর: ০৭৫১৩৯৯–০৭৫১৪৩৫) জমা দেন।
তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৩৬টি কিস্তির মাধ্যমে মাসে ৬১ হাজার ৫৬০ টাকা পরিশোধের শর্তে ঋণ গ্রহণ করেন তিনি। এ পর্যন্ত ১৩টি চেক (সিরিয়াল: ০৭৫১৩৮৬–০৭৫১৩৯৮) ব্যবহার করে কিস্তি পরিশোধ করেন। সব চেক ব্যাংকের ভল্টে জমা ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
তবে সম্প্রতি ০৭৫১৪৩৪ নম্বরের একটি চেকের মাধ্যমে কোটচাঁদপুর উপজেলার আদর্শ পাড়ার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ৯৭ লাখ টাকা পাওনার অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা (সি.আর. মামলা নম্বর: ২৩৯/২৫) দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “যে চেকটি আমি ব্যাংকে জমা দিয়েছি, সেটি বাইরে কীভাবে গেল? এটি স্পষ্টতই ব্যাংকের ভেতরে থাকা কোনো অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় চুরি হয়েছে বলে আমার সন্দেহ। এই ঘটনার সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি জালিয়াত চক্র কাজ করছে বলে আমি জানতে পেরেছি।”
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, চেক জালিয়াতির ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ইতিপূর্বে তিন মাস কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।
ব্যাংকের অবস্থান জানতে চাইলে ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক মো. রকিবুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ব্যাংক ম্যানেজার লোন সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য থানায় এসেছিলেন। আমি উভয় পক্ষের কথা শুনেছি, তবে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় কোনো পরামর্শ দেইনি।”
১১৯ বার পড়া হয়েছে