জাতীয়

সতর্ক হোন: ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম ঝুঁকিতে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫ ৪:৩২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন—এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এতদিন একজন ব্যক্তি তার এনআইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন। তবে এবার সেই সংখ্যা কমিয়ে ১০টি করা হয়েছে।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম অক্টোবরে বন্ধ হয়ে যাবে। মোবাইল অপারেটরগুলো ইতোমধ্যে যেসব গ্রাহকের নামে ১৫টি পর্যন্ত সিম রয়েছে, তাদের ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে অনুরোধ জানাচ্ছে—সেবা কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের ১০টি সিম রেখে বাকি সিমগুলো বন্ধ করে ফেলতে।

বিটিআরসি জানায়, একজন গ্রাহক সাধারণত পাঁচ-ছয়টির বেশি সিম ব্যবহার করেন না। এমনকি অনেকেই একদিনেই একাধিক সিম কিনছেন, যা সন্দেহজনক। অপব্যবহার রোধে এবং নিরাপত্তা জোরদারে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

বর্তমানে দেশে ৬ কোটি ৭৬ লাখ গ্রাহকের হাতে সিম রয়েছে ১৮ কোটি ৬২ লাখ। এত বেশি সংখ্যক সিম ব্যবহারে নানা ধরনের জালিয়াতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি তৈরি হয়।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গ্রাহকরা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাবেন অপ্রয়োজনীয় সিম বন্ধ করার জন্য। এই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে, ১০টির বেশি সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গ্রাহকরা *১৬০০১# ডায়াল করে জানতে পারবেন, তাদের নামে কতটি সিম নিবন্ধিত রয়েছে। এছাড়া অপারেটরের সেবা কেন্দ্র থেকেও সাহায্য পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “নতুন নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।” আর রবি’র করপোরেট ও রেগুলেটরি বিভাগের প্রধান সাহেদ আলম জানান, সিম বন্ধ করতে হলে গ্রাহককে অপারেটরের সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে।

তবে অনেক গ্রাহক বলছেন, একটি পরিবারের জন্য ১০টি সিম যথেষ্ট হলেও, অপরাধী ধরা না গেলে কেবল সংখ্যা কমালেই সমস্যার সমাধান হবে না।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন