আন্তর্জাতিক

গাজায় নতুন ভয়াবহতা: পেরেক ছড়ানো মিসাইল চালাচ্ছে ইসরায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ২৪ জুলাই, ২০২৫ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মাত্রা দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ইসরায়েল এখন জনবহুল এলাকায় এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা বিস্ফোরণের সময় শুধু ধ্বংসই নয়, দেহ ভেদ করে মৃত্যু নিশ্চিত করছে।

আলজাজিরা’র এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ‘পেরেক ভর্তি মিসাইল’ ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব মিসাইল বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশে প্রচণ্ড গতিতে ছড়িয়ে পড়ে পেরেক ও ধাতব বস্তুকণা— যা মানুষের শরীরে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ ক্ষতি করে।

এই ধরনের হামলা সাধারণত বাজার, পানির লাইনের পাশে অথবা আশ্রয়শিবিরের মতো জনসমাগমপূর্ণ স্থানে চালানো হচ্ছে, যেখানে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকরা আশ্রয় নেন বা ত্রাণ সংগ্রহে ভিড় করেন।

মানবিক বিপর্যয়ের মুখে গাজার হাসপাতালগুলো
গাজার স্বাস্থ্যখাত ধসে পড়েছে। একাধিক হাসপাতালে জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ নেই, ফলে চিকিৎসা যন্ত্র চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসকরা বাধ্য হচ্ছেন রোগী বাছাই করে চিকিৎসা দিতে।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কিডনির রোগীদের সেবা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

একাধিক হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, “যুদ্ধের চেয়ে চিকিৎসার অভাবেই এখন মৃত্যু বেশি হচ্ছে।”

‘নিরাপদ’ বলে ঘোষিত আশ্রয়কেন্দ্রেই ভয়াবহ হামলা
সর্বশেষ হামলা চালানো হয়েছে আল-মাওয়াসি আশ্রয়কেন্দ্রে, যা আগে ইসরায়েল নিজেই ‘নিরাপদ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
এই হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু রয়েছে। আগুনে পুড়ে যায় বহু তাবু ও জরুরি ত্রাণসামগ্রী।

এছাড়া ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরও সাতজন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ইসরায়েলি জনমত
সম্প্রতি গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায় বিমান হামলায় তিনজন নিহত হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া আসে।
জবাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, “এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল” এবং বিষয়টি তদন্তাধীন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও এই যুদ্ধ নিয়ে জনমত বিভক্ত। এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ ইসরায়েলি নাগরিক বিশ্বাস করেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদে ইসরায়েলের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে না।

১৪৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন