নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩২, আশঙ্কাজনক বহু

বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫ ৭:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে।
নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৬৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৯ বছর বয়সী শিশু নাফির মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইএসপিআর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে পৌঁছায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২৭ জন নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, যাদের মধ্যে ২৩ জনই শিশু। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, অনেক মরদেহের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৬টি মরদেহ রাখা হয়েছে সেনা প্রধানের তত্ত্বাবধানে সিএমএইচের মর্গে। নিহত বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে।
আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে:
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: ৪৬ জন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ৩ জন
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল: ৮ জন
সিএমএইচ: ২৮ জন
লুবনা জেনারেল হাসপাতাল: ১৩ জন
উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: ৬০ জন
উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: ১ জন
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ: ১ জন
ইউনাইটেড হাসপাতাল: ২ জন
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: ৩ জন
অবস্থা গুরুতর, বিদেশি চিকিৎসক আনতে প্রস্তুতি
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের মধ্যে দুজনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও, এইচডিইউতে (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) থাকা অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরও অন্তত ৩০ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। আহতদের চিকিৎসায় দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদেরও যুক্ত করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
১১৬ বার পড়া হয়েছে