প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫ ৪:২৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইতিহাস গড়ল টাইগাররা! পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজরা। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ রানের জয় এনে দেয় টাইগারদের বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।
১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান, হাতে মাত্র এক উইকেট। মোস্তাফিজের প্রথম বলেই চার মেরে কিছুটা আশার আলো দেখান আহমেদ দানিয়াল। তবে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শামীম হোসেনের হাতে। পাকিস্তান অলআউট হয় ১২৫ রানে। এ জয়ে বাংলাদেশ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। শুরুটা ভালো না হলেও জাকের আলীর ৪৮ বলে ৫৫ এবং শেখ মেহেদী হাসানের ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৫ রান থাকতেই পাঁচ টপ-অর্ডার ব্যাটারকে হারায় তারা। রিশাদের থ্রোয়ে প্রথম ওভারেই রানআউট হন সাইম আইয়ুব। পরের ওভারেই গোল্ডেন ডাক মারেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ হারিস, যাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর শরিফুল ফেরান ফখর জামানকেও — যিনি আগের ম্যাচে পাকিস্তানের পক্ষে একমাত্র লড়াই করেছিলেন।
তানজিম হাসান সাকিব এক ওভারেই ফেরান হাসান নাওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজকে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফিরেন আগা সালমান ও খুশদিল শাহ। এক পর্যায়ে ৬ উইকেটে ৬৬ রান করে পাকিস্তান।
এরপর ফাহিম আশরাফ এবং আব্বাস আফ্রিদি ৪১ রানের জুটি গড়ে কিছুটা চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। তবে বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ সেই জুটিও ভাঙেন। ফাহিম আশরাফ একপ্রান্তে লড়ে ৩২ বলে ৫১ রান করলেও ১৯তম ওভারে বোল্ড হন রিশাদের বলে। দানিয়াল শেষ চেষ্টা করলেও ফলাফল বদলায়নি।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার শরিফুল ইসলাম, তিনি নেন ৩টি উইকেট। শেখ মেহেদী ও তানজিম সাকিব নেন ২টি করে উইকেট, আর মোস্তাফিজ ও রিশাদের শিকার ১টি করে।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে আসে দুটি পরিবর্তন। তাসকিন আহমেদ ও তানজিদ তামিমকে বাদ দিয়ে একাদশে নেওয়া হয় শরিফুল ইসলাম ও নাঈম শেখকে। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও হতাশ করেছেন নাঈম। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে ফিরেছেন ফাহিম আশরাফের বলে। আগের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চারে খেলে সমালোচিত হন, এবার নিজের পছন্দের পজিশনেও সফল হতে পারেননি।
অধিনায়ক লিটন দাস ফেরেন ৮ রান করে, হৃদয় রানআউট হন রানের খাতা না খুলেই। আগের ম্যাচে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা ইমনও ব্যর্থ হন। পাওয়ারপ্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৮ রান তোলে বাংলাদেশ।
এরপর জাকের আলী ও শেখ মেহেদী মিলে ইনিংস গুছানোর চেষ্টা করেন। তারা যোগ করেন ৫৩ রান। মেহেদী ২৫ বলে ৩৩ করে আউট হন। এরপর ক্রিজে এলেও টিকতে পারেননি শামীম, রিশাদ বা তানজিম। জাকের অবশ্য একপ্রান্তে লড়ে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল ১টি চার ও ৫টি ছক্কা। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।
পাকিস্তানের পক্ষে সালমান মির্জা, আহমেদ দানিয়াল ও আব্বাস আফ্রিদি ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ফাহিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।
১১৩ বার পড়া হয়েছে