ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার হুমকি ফের ট্রাম্পের

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫ ১২:৫১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন।
সম্প্রতি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্বীকার করেছেন, জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় দেশটির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। এই স্বীকারোক্তির পরই ট্রাম্প এক পোস্টে জানান, প্রয়োজনে ওয়াশিংটন আবারও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
সোমবার রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, "ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, আমাদের হামলায় তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়েছে। আমি প্রথম থেকেই বলছিলাম এটি একটি অত্যন্ত সফল অভিযান ছিল। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আমরা আবারও তেমন অভিযান চালাবো।"
এই মন্তব্যের পাশাপাশি তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর সমালোচনাও করেন। ট্রাম্প বলেন, "সিএনএন দাবি করেছে, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। অথচ বাস্তবতা এবং গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আমাদের অভিযান সফল ছিল।"
তিনি সিএনএনের এক প্রতিবেদককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "ভুয়া খবর ছড়ানোর জন্য সিএনএনের উচিত সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে অবিলম্বে বরখাস্ত করা এবং ঐতিহাসিক অভিযানে অংশ নেওয়া সাহসী পাইলটদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।"
এর মধ্যে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, "সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। হামলার ফলে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ব্যাপক। তবে এটি আমাদের জাতীয় গর্বের প্রতীক। আমরা এই কর্মসূচি স্থায়ীভাবে কখনও ত্যাগ করব না।"
তেহরান স্পষ্ট জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ এবং দেশটির বিজ্ঞানীদের মর্যাদার প্রশ্নে তারা পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প চালিয়ে যাবে।
এদিকে দ্য টাইমস অব ইসরাইল জানায়, ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটনের এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীরভাবে নজর রাখছে—এই উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায়।
১১০ বার পড়া হয়েছে