মতামত

কাঙাল হরিনাথের ১৯২ তম জন্মবার্ষিকী ও কিছু কথা

মীর মুর্ত্তজা আলী বাবু
মীর মুর্ত্তজা আলী বাবু

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ৫:২৯ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কাঙাল হরিনাথ মজুমদার, তাঁকে আমরা কোন উপাধিতে ভূষিত করবো? সাংবাদিক, সম্পাদক, সাহিত্যিক, বিদ্যানুরাগী, শিক্ষক, বিপ্লবী না মানবিক মানুষ? কোনটা ছিলেন না তিনি?

আজ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১৯২ তম জন্মবার্ষিকী। অনেকেই লিখেছেন, লিখছেনও তাঁকে নিয়ে। নিজেদের নামের আগে বিশেষণ লাগাচ্ছেন কাঙাল হরিনাথের জীবনী লেখক হিসেবে। বলে রাখা দরকার, কাঙাল হরিনাথ, জলধর সেন, মীর মশাররফ হোসেন, লালন শাহ প্রমুখকে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন গবেষক ও অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী, বাংলা একাডেমি থেকে বের হয়েছে সে সব জীবনীগ্রন্থ। তিনি কিন্তু নিজেকে জীবনী লেখক হিসেবে পরিচয় দেন না।

কেউ কেউ আরেক কাঠি ওপরে উঠে কাঙাল হরিনাথের নামে প্রেসক্লাবও গঠন করেছেন। আমাদের স্কুল সময়ের সহপাঠি তো নিজের নামই পরিবর্তন করে কাঙাল মজিবর হয়েছেন। এগুলো ভালো লক্ষণ। ইতোমধ্যেই কুমারখালী শহরে কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি যাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এ সবই আশার কথা। পান্ডিত্য থাকলে তা জাহির করবেন এটাই স্বাভাবিক।


আমি ফিরে যেতে চাই, আজ থেকে চল্লিশ/পঞ্চাশ বছর আগে, যখন কাঙাল হরিনাথকে নিয়ে এককভাবে কাজ করতেন কাঙালের প্রপৌত্র অশোক মজুমদার। তখন তাঁকে সহযোগিতা করার মতো দু-একজন মানুষ ছাড়া তেমন কেউই ছিলেন না। নন্দ গোপাল বিশ্বাস, মীর আমজাদ আলী, সৈয়দ মশিউর রহমান প্রমুখ ছিলেন তাঁর সহায়তাকারী, প্রেরণাদাতা বা উপদেশক।


আজ থেকে চুয়াল্লিশ বছর আগে বের হয়েছিলো অশোক কুমার মজুমদার সম্পাদিত 'কাঙাল হরিনাথ স্মরণীকা' সে স্মরণীকার সম্পাদকীয়তে সম্পাদক অশোক দা লিখেছেন, ' এ সংকলন নব-বসন্তে পূর্ণ যৌবনে আত্ম প্রকাশে বন্ধুবর মীর আমজাদ আলী ও স্নেহাষ্পদ সৈয়দ মশিউর রহমান এঁদের পূর্ণ সহযোগিতা না পেলে হয়তো বা বিলম্বিত হলেও আত্মপ্রকাশ ঘটতো না'।


চুয়াল্লিশ বছর আগে অর্থাৎ ১৩৮৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত এ স্মররণীকা প্রচ্ছদে সাদা কালো রঙে আঁকা ছবিটি বন্ধু শিবনাথ কর্মকারের করা। স্মরণীকার শেষ পৃষ্ঠায় আমার লেখা কবিতা 'একজন মানুষকে শ্রদ্ধা করি' প্রকাশিত হয়েছিলো।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
মতামত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন