আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৪, নিখোঁজ অনেকে 

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ চুংচেওং প্রদেশে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এতে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।

দেশটির সরকার জানায়, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এবং বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ।

চুংচেওং অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে একটি পুরো গ্রাম মাটিচাপা পড়ে গেছে বলে জানা গেছে। শুধু সানচেং এলাকাতেই মারা গেছেন ৬ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে জোরালো অভিযান।

বন্যার পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হাজারো রাস্তা, ভবন ও কৃষিজমি। নষ্ট হয়েছে বিপুলসংখ্যক গবাদিপশুও। রাজধানী সিউলের নিকটবর্তী পার্বত্য অঞ্চল এবং দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণের পর প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্তত ৪১ হাজার পরিবার।

রোববার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং। একই সঙ্গে, উদ্ধার কাজে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সরকার ও সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউন হো-জং জানিয়েছেন, সকল সরকারি সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হবে।

চুংচেওংয়ের সিওসান শহরে বাড়িঘর, ধানক্ষেত ও খামার ডুবে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি শহর থেকে অন্তত ৫,১৯২ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৯৬টি সরকারি স্থাপনা ও ২৭৬টি বেসরকারি স্থাপনা।


দক্ষিণ এশিয়ায়ও একই চিত্র
দক্ষিণ কোরিয়ার মতোই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানেও। পাঞ্জাব প্রদেশে ব্যাপক বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন অন্তত ৬৩ জন। জুনের শেষদিক থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের।

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আজমেরে টানা বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমনকি সরকারি হাসপাতালেও পানি ঢুকে পড়ায় হাঁটুসমান পানিতে চলাচল করতে দেখা গেছে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।

রাশিয়ার বরফে ঢাকা কিছু অঞ্চলেও প্রবল বর্ষণে অন্তত আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ডুবে গেছে ৯৩টি বাড়ি। উদ্ধার করা হয়েছে ১০০ জনের বেশি বাসিন্দা, গবাদিপশু ও পোষা প্রাণী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এইসব অঞ্চলে এই ধরনের অস্বাভাবিক আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন