আন্তর্জাতিক

'ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ে ২৮ বছর ধরে ভারতে এক বাংলাদেশি'

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ৯:২৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ে দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর ধরে ভারতে বসবাস করা এক যুবককে আটক করেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোপাল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে দাবি, ওই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ‘নেহা’ ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। তবে তার প্রকৃত জাতীয়তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত কোনও তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির প্রকৃত নাম আবুল কালাম। তার বয়স আনুমানিক ৩৮ বছর। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন এবং দীর্ঘ দুই দশক মুম্বাইয়ে থাকার পর সম্প্রতি ভোপালে বসবাস করছিলেন। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘নেহা কিন্নর’ নামে পরিচিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়দের সন্দেহ এড়াতে আবুল কালাম নিজেকে একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। ভোপালের বুধওয়ারা এলাকার বিভিন্ন বাসায় তিনি ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন। পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠা করতে একাধিক ভুয়া পরিচয়পত্র—যেমন আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তার পাসপোর্ট ব্যবহার করে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। পুলিশ তার কাছ থেকে উদ্ধার করা নথিপত্র যাচাই করছে এবং এসব তৈরি করতে কোনো চক্র বা নেটওয়ার্কের সহায়তা পেয়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনার তদন্তে সাইবার ক্রাইম ইউনিটও যুক্ত হয়েছে। তারা তার মোবাইল ফোন, কল রেকর্ড, মেসেজসহ ডিজিটাল মাধ্যমের যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করছে। ভোপালের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা শালিনী দীক্ষিত বলেছেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তার পরিচয় যাচাই করে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তাই তদন্তকালীন তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।”

এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের প্রকৃত জাতীয়তা বা বাংলাদেশি পরিচয় সংক্রান্ত কোনও সরকারিভাবে যাচাই করা তথ্য পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশি দাবির উল্লেখ থাকলেও, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয় তালাইয়া থানায় ৩০ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার ট্রান্সজেন্ডার পরিচয় সত্য কি না, তা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা চালানো হবে।

১১৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন