সারাদেশ

সবজির দাম কমলেও বড় ইলিশ ও নিত্যপণ্যের দাম উচ্চমাত্রায়

যশোর প্রতিনিধি
যশোর প্রতিনিধি

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫ ৯:৩১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
যশোরের বাজারে কিছুটা স্বস্তির খবর এল। দীর্ঘ সময় উচ্চমূল্যের পর কমতির দিকে ধাক্কা লেগেছে সবজির দাম।

ইলিশ মাছের দামও কিছুটা কমেছে, যদিও বড় আকারের ইলিশের দাম এখনও অপরিবর্তিত। অন্যদিকে, চাল, ডাল, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এখনো চড়া অবস্থায় রয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সবজি ও কাঁচামরিচের সরবরাহ ছিল সংকটময়, যার ফলে দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে শুক্রবার বড়বাজারে দেখা গেছে কাঁচামরিচের দাম পড়েছে কেজিতে ১৬০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় ৮০ টাকা কম। তদুপরি কাচকলা, কচুরমুখি, পেঁপে, চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া ৩০, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজিতে। ঢেড়স, লাউ, করলা, কচুরলতি, ঝিঙ্গের দাম ৬০ টাকা, বেগুন, ওল, কাকরোল ৮০ টাকা। শসা ও বরবটির দাম ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ এবং গাজর ১৩০ টাকা। আলুর দাম ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশ মাছের দামেও কিছুটা পতন লক্ষ্য করা গেছে। ১৭ জুলাই থেকে সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে। ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, যা আগের চেয়ে ৩০০ টাকা কম। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম এখন ১২০০ টাকা কেজিতে, যা দুই দিন আগের তুলনায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম। এক থেকে দেড় কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে ২২০০ টাকায়, আগের তুলনায় প্রায় হাজার টাকা কম। বড় বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ বেড়ে দাম কমে আসছে।

স্থানীয়রা আশা করছেন, দেশীয়দের জন্য ইলিশ মাছের দাম আরও কমবে যেন সবাই স্বল্পমূল্যে ইলিশ খেতে পারে। যেমন বারান্দিপাড়ার খলিলুর রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষের কথা সরকার যেন আগে ভাবে, তারপর রপ্তানির বিষয়ে চিন্তা করে।’ আর শেখহাটির মহসিন হোসেন বলেন, ‘আমরা সবাই কম দামে ইলিশ খেতে চাই।’

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকা প্রতি কেজি। ডিমের বাজারে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত।

চালের বাজারে এখনও স্বস্তি দেখা যায়নি। মোটা চালের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠেছে। অন্যান্য চালের দামেরও সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। মুগ ডাল ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১৩৫ টাকা, ছোলা ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, বুট ডাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৮৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ১৮৫ টাকা।

মশলার বাজারেও দাম এখনো তুলনামূলকভাবে উচ্চ। জিরার কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, এলাচ ৬,৫০০ টাকা, লবঙ্গ এক হাজার ৪০০ থেকে ১,৬০০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, গোলমরিচ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং রসুন ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে ওঠানামা করছে।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন