আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-সিরিয়া যুদ্ধবিরতিতে একমত: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫ ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত প্রতিবেশী ইসরায়েল ও সিরিয়া টানা চার দিনের সংঘাত এবং ৩২১ জন নিহত হওয়ার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম বারাক।

এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় তিনি জানান, তুরস্ক, জর্ডান ও আশপাশের অন্যান্য দেশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বারাক আরও বলেন, “সব দ্রুজ, বেদুইন ও সুন্নিদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অস্ত্র ফেলে দেয় এবং সব নাগরিককে নিয়ে একটি নতুন সিরিয়া গঠনের পথে এগিয়ে আসে।”

তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস এবং কানাডার সিরীয় কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংঘাতের সূচনা ঘটে গত মঙ্গলবার, সিরিয়ার সোয়েইদা প্রদেশে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে হামলার মধ্য দিয়ে। এতে অন্তত ১৩ জন নিহত হন। হামলাকারীরা ছিলেন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা-ঘনিষ্ঠ কট্টর সুন্নি সংগঠন ‘হায়াত তাহরির আল শামস’ (এইচটিএস)-এর সদস্য।

পরদিন বুধবার ইসরায়েল বিমান হামলা চালায় দামেস্ক ও সোয়েইদায়। ইসরায়েল দাবি করে, তারা দ্রুজসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এর আগে এক সপ্তাহ ধরে সোয়েইদায় দ্রুজ, বেদুইন ও সুন্নিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলছিল। সংঘাত ঠেকাতে সিরীয় সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করলেও তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়; বরং সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে সংঘাত চলাকালে সোয়েইদায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

সোয়েইদার এক বাসিন্দা মুদার রয়টার্সকে বলেন, “চার দিন ধরে কোনো খাবার নেই, পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই— আমরা যেন এক অবরুদ্ধ মৃত্যুপুরীতে বাস করছি।”

দ্রুজ সম্প্রদায় সিরিয়ার একটি সংখ্যালঘু হলেও তাদের রয়েছে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব। এই সম্প্রদায়ের মূল ভিত্তি সুফিবাদী ও শিয়া বিশ্বাসের ওপর গড়ে উঠেছে। ৯ম শতকের শেষ দিকে ইসমাইলি সুফি ধর্মগুরু ইসমাইল নাশতাকিন আদ-দারাজির হাত ধরে এই মতবাদের সূচনা হয়। তারা একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী এবং ইসলামি নবী ও খলিফাদের স্বীকৃতি দেন, তবে বিশ্বাস করেন যে সৃষ্টিকর্তা মানুষের মধ্যেই বিরাজমান।

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন