বদলে গেছে স্কুল বেঞ্চে বসার কায়দা

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫ ৭:১০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কেরালার একটা স্কুলে হঠাৎ করে সারি সারি বেঞ্চগুলো সরে গেল। সামনের বেঞ্চ, পেছনের বেঞ্চ—সব মিলেমিশে এক হয়ে গেল। ঠিক ছবির মতো।
ছেলেমেয়েরা এখন আর পেছনে বসে না, কেউই আর সামনে বসে না। সবাই এক গোলায় বসে। চোখের সামনে সবাইকে দেখা যায়, শুনতেও পাওয়া যায়।
এই পরিবর্তনের পেছনে ছিল এক সিনেমা। মালায়ালম ছবি—‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টান’। ছবিতে এক বাচ্চা ছেলেকে দেখা যায়—নাম শ্রীকুট্টান। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। পেছনের বেঞ্চের চিরচেনা বাসিন্দা, পড়াশোনায় ঢিমে, প্রায়ই দেরিতে আসে। চক্রপাণি স্যারের কড়া চোখে সে ঘোরতর শক্র।
একদিন সবার সামনে শাস্তি পেয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়ায় শ্রীকুট্টান। তার বিপরীতে আছে অম্বাদি—শ্রেণিশ্রেষ্ঠ ছাত্র, শিক্ষকের স্নেহধন্য, সামনে বসে থাকা মেধাবী ছেলে।
অন্যদিকে ক্লাসের নেতৃত্বের নির্বাচন ঘিরে দুই বন্ধুর ভেতর ঢেকে রাখা সংঘাত ধীরে ধীরে জমে ওঠে।
শ্রীকুট্টান পেছনের বেঞ্চ আর অম্বাদি সামনের বেঞ্চের প্রতিনিধি। দুটো জগৎ, যেন দুই মেরু। মাঝখানে একটা অদৃশ্য প্রাচীর।
ক্লাস নির্বচানই হয়ে ওঠে মোক্ষম ক্ষেত্র।
শ্রীকুট্টান সাহস করে দাঁড়াল, বলে—আমি নির্বাচন করব। বন্ধুরা হাত ধরল, অম্বাদি ভুরু কুঁচকাল, চক্রপাণি স্যার কপাল কুঁচকালেন আরও বেশি।
ক্লাসের চুলচেরা রাজনীতি, হাসি-কান্না আর রাগ-মান ধরে গল্পটি এগোয়।
শেষ দৃশ্যটা অন্যরকম। হঠাৎ দেখা গেল, বেঞ্চগুলো মাঝখানে টেনে এনে ছেলেমেয়েরা নিজেই বানালো আধা-গোল মাথা, ইংরেজি ‘ইউ’-এর মতো।
কারও পেছন নেই, কারও সামনে নেই—সবাই সমান দূরত্বে, সবার মুখ দেখা যায়।
এই দৃশ্যটাই বদলে দিচ্ছে দক্ষিণ ভারতের স্কুলগুলো। কেরালার ছ'টি স্কুলে এখন এইভাবেই পাঠ দেওয়া হয়। পাঞ্জাবের একটি স্কুলেও একই চিত্র।
১২০ বার পড়া হয়েছে