পশ্চিমবঙ্গে আছেন মোদি, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে সফর

শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫ ৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ (শুক্রবার) রাজ্যে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিকেলে বিহারে একটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেওয়ার পর তিনি দুর্গাপুরে এসে বিজেপির একটি বড় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন।
দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই জনসভায় মোদির অংশগ্রহণকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামে তার জন্য দুটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে—একটি রাজনৈতিক ভাষণের জন্য এবং অন্যটি প্রশাসনিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণার জন্য ব্যবহৃত হবে।
বিহারে ভাষণ শেষে মোদি পাটনা থেকে বিমানে দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে জনসভাস্থলের দিকে যাবেন। শেষ তিন কিলোমিটার পথ গাড়ির জানালা দিয়ে সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অতিক্রম করবেন বলে বিজেপি সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ার সফরকালে মোদি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। একই সুর বজায় রেখে বৃহস্পতিবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, "তৃণমূলের কারণে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়েছে। এই রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব শুধু বিজেপির হাত ধরে।"
নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে
বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ—উভয় রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছরের শুরুতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মোদির বর্তমান সফরকে অনেকেই বিজেপির নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে তৃণমূল তুলে ধরতে পারে বাংলাভাষী মানুষের প্রতি দেশব্যাপী হেনস্তার অভিযোগ, যেখানে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বহু মানুষকে লক্ষ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপি চায় দুর্নীতির ইস্যুকে সামনে এনে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে। দলটির ঘোষণা, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিদায় দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
পটভূমি
সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল বিজয় অর্জন করে ২১৩টি আসন লাভ করে। বিজেপি পায় ৭৭টি আসন। বাম ও কংগ্রেস একটিও আসন না পেলেও নতুন দল আইএসএফ ১টি আসন জিতে আলোচনায় আসে।
১১৬ বার পড়া হয়েছে