সারাদেশ

দৌলতপুর সীমান্তে ‘ভারতীয়’ দাবি করে কৃষকের তিন মহিষ জব্দ

আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

বৃহস্পতিবার , ১৭ জুলাই, ২০২৫ ৬:২৬ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় তিনটি মহিষ ‘ভারতীয়’ বলে দাবি করে সেগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে ৬ জুলাই ভোরে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের কাজিহাটা এলাকায়। অভিযানে অংশ নেয় প্রাগপুর বিওপির বিজিবি সদস্যরা। তারা রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের কৃষক মানিক মণ্ডল (৪২) ও তার সঙ্গে থাকা তিনটি মহিষ আটক করে। পরে মহিষগুলো সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে জব্দ করা হয়।

বিজিবির দাবি, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ও আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় ৭ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি মহিষ জব্দ এবং মানিক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন, ৭ জুলাই, মানিককে আদালতে পাঠানো হয়।

তবে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, মহিষগুলো মানিকের নিজের খামারে পালিত এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজশাহীর সিঁটিরহাটে নেওয়া হচ্ছিল। আটক হওয়ার সময় তার কাছে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আয়শা খাতুনের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্রও ছিল।

প্রত্যয়নপত্রটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। আয়শা খাতুন এক ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি একটি ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছেন, যার মধ্যে তারিখ বা বিস্তারিত বিবরণ ছিল না।

পরে ৮ জুলাই, রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল মানিকের পক্ষে আরেকটি প্রত্যয়নপত্র দেন। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, মানিকের খামারে মোট ১২টি মহিষ রয়েছে, যার মধ্যে আটক তিনটি তার নিজের এবং সেগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হচ্ছিল।

১৪ জুলাই দুপুরে মানিক মণ্ডলের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “অভাব-অনটনের কারণে আমাদের তিনটি মহিষ বিক্রির উদ্দেশ্যে আমার স্বামী রাজশাহীর হাটে যাচ্ছিলেন। পথে বিজিবি তাদের আটক করে মহিষগুলো ‘ভারতীয়’ বলে দাবি করে নিয়ে যায়। আমাদের কথা না শুনেই সেগুলো নিলামে বিক্রি করে দেয়।”


বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম বলেন, “তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”

এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেছে।

১০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন