পাকিস্তানের 'পিআইএ' বিমানের ওপর থেকে উঠে গেল ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫ ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাঁচ বছর পর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) ওপর থেকে।বুধবার (১৬ জুলাই) ইসলামাবাদে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাজ্যের বিমান নিরাপত্তা কমিটি পিআইএর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের জুনে করাচিতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর পিআইএর সব ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাজ্য। সেই দুর্ঘটনায় প্রায় ১০০ জন নিহত হন। পরে তদন্তে উঠে আসে, এক-তৃতীয়াংশ পাইলটের লাইসেন্স ভুয়া বা সন্দেহজনক। পাইলটদের অবহেলা এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তান বিমান নিরাপত্তা খাতে ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ করেছে। এ কারণেই পিআইএর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “একটি স্বাধীন ও কারিগরি নিরীক্ষার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নও পিআইএর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইউরোপে পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এ সিদ্ধান্তকে দেশের জন্য “একটি বড় অর্জন” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “প্রবাসী পাকিস্তানিদের জন্য এটি স্বস্তির খবর।”
পিআইএ জানিয়েছে, খুব শিগগিরই যুক্তরাজ্যগামী ফ্লাইট চালু হবে। ইসলামাবাদ থেকে ম্যানচেস্টার হবে পুনঃচালু হওয়া প্রথম রুট।
পাকিস্তানের বিমানমন্ত্রী খাজা আসিফ স্বীকার করেছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ক্ষতির মুখে ছিল সংস্থাটি। তিনি বলেন, “এখন আবার বিশ্বে পাকিস্তানি বিমান পরিষেবার প্রতি আস্থা ফিরছে।”
তবে সবকিছুই এক দিনে বদলায়নি। সাত হাজার কর্মীর বিশাল কাঠামোর পিআইএ বহুদিন ধরেই লোকসান, অনিয়ম এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সমালোচিত হয়ে আসছে। একসময় বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় বিমান সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হলেও, পরে বারবার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে পড়ে।
সরকার জানিয়েছে, তারা পিআইএকে বেসরকারিকরণ করতে চায় এবং ক্রেতা খুঁজছে। ২০২৪ সালে একটি সম্ভাব্য চুক্তি শুধুমাত্র দরদামের অসঙ্গতির কারণে বাতিল হয়।
১১০ বার পড়া হয়েছে