সারাদেশ

জলাবদ্ধতায় স্থবির বেনাপোল স্থলবন্দর, আমদানি-রপ্তানি পণ্যে ক্ষতি

শেখ ফারহান‌ সাদাফ, বেনাপোল 
শেখ ফারহান‌ সাদাফ, বেনাপোল 

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫ ৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে কাস্টমস ও বন্দর এলাকার স্বাভাবিক কার্যক্রম।

পানি জমে থাকায় কোটি কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি পণ্যসামগ্রী পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বেনাপোল কাস্টম হাউসের সামনের এলাকা, মসজিদ সংলগ্ন অংশ, খেলার মাঠ এবং বন্দরের ১৬ ও ১৭ নম্বর শেড হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে আছে। কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধ্য হয়ে পানি মাড়িয়ে অফিস করছেন। বন্দরের খোলা আকাশের নিচে রাখা পণ্য ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকেজো

জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে দুর্বল ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। কাস্টমস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার হয়নি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী জানান, “সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় পানি জমে যায়। এতে শ্রমিকদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ে এবং সরকারও প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায়।”

বর্তমানে মাত্র একটি সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চলছে, যা কার্যকর হচ্ছে না। ফলে কাস্টম হাউসের নিচতলার কক্ষে পানির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

স্থায়ী সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, “একটি স্থায়ী ও সমন্বিত প্রকল্প ছাড়া এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। প্রতিটি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিজ নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে।” তিনি আরও জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে।

সমন্বিত কমিটি গঠিত, দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, গত ৯ জুলাই বেনাপোল পৌরসভা, কাস্টম হাউস এবং বন্দরের যৌথ উদ্যোগে একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাতে কাস্টমস, রেলওয়ে, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং একজন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।

তবে কমিটি গঠনের পর এখনও দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম যেমন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজারো শ্রমিক ও ব্যবসায়ী।

১৪৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন