বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার গ্রেফতার

সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫ ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিদেশে উচ্চশিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন এম. কে খায়রুল বাশার বাহারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা রয়েছে। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নামে গড়ে একজনের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা করে আদায় করে।
তাদের অভিযোগ, কলেজে সেশন ফি প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী অর্থ পাঠানোর কথা থাকলেও বিএসবি তা না করে ভুয়া অফার লেটার তৈরি করে এবং টাকার কোনো অংশই বিদেশে পাঠায়নি। এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘন করে শতাধিক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
ভুক্তভোগীদের একজন, রুমন আলী লস্কর, এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের প্রায় ১,০০০ শিক্ষার্থীকে প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে। বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক আমাদের যে তালিকা দিয়েছে, তাতে ৮৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে বাশার। তাতে বলা হয়, তিন কিস্তিতে—২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর—বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হবে। তবে নির্ধারিত প্রথম কিস্তির দিন অর্থ প্রদান না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপর তার লোকজন হামলা চালায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। গুলশান থানার পুলিশ এ বিষয়ে অবগত বলেও জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা এখন দ্রুত প্রতারকদের বিচার এবং তাদের প্রাপ্য অর্থ ফেরতের দাবি জানাচ্ছেন।
১২৯ বার পড়া হয়েছে