ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, হুমায়রার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন ভাই নাভিদ

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাকিস্তানের পরিচিত মডেল ও অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরের মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
করাচির নিজ ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, পরিবার তার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং অভিনেত্রীর সঙ্গে পরিবারের দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ ছিল না।
তবে এসব তথ্যকে ভিত্তিহীন দাবি করে মুখ খুলেছেন হুমায়রার ভাই নাভিদ আসগর। তিনি বলেন, “মিডিয়ায় যা প্রকাশ হচ্ছে, তার অধিকাংশই ভুল ও বিভ্রান্তিকর।”
'আমরা মরদেহ নিতে এসেছি'
পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) লাহোর থেকে লিগ্যাল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বোনের মরদেহ নিতে করাচি আসেন নাভিদ। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার হুমায়রার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। বরং মৃত্যুর সময় একটি পারিবারিক দুর্ঘটনার খবরেও আমরা শোকাহত ছিলাম।”
ডিএনএ রিপোর্টের অপেক্ষায় মরদেহ হস্তান্তর হয়নি
নাভিদ আসগর আরও জানান, “পুলিশ জানিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার ফল আসার পরই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এখনও সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। অথচ গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে আমরা মরদেহ নিতে চাইনি—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
‘একজন স্বাধীনচেতা নারী ছিল আমার বোন’
হুমায়রার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নাভিদ বলেন, “সে নিজের পছন্দে করাচিতে ৭ বছর ধরে বসবাস করছিল। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তবে গত এক বছর ধরে সে বাড়ি আসেনি। শেষ ৬ মাসে ফোনও বন্ধ পাচ্ছিলাম। আমরা অন্য নম্বর থেকেও চেষ্টা করেছিলাম যোগাযোগের।”
‘গুজব না ছড়িয়ে প্রকৃত প্রশ্ন তুলুন’
নাভিদ গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান, “ভুল তথ্য ছড়াবেন না। বরং প্রশ্ন করুন—সেই অ্যাপার্টমেন্টের মালিক কেন এতদিন খোঁজ নিলো না? দরজা কেন ভেতর থেকে বন্ধ ছিল? ভবনে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না কেন?”
পুলিশের তদন্ত অব্যাহত
পুলিশ জানিয়েছে, হুমায়রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, তবে একটি ফোন এখনো পাওয়া যায়নি। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণও চলছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
১২০ বার পড়া হয়েছে