আগামী নির্বাচনে স্থানীয় নেতৃত্বের অগ্রাধিকার দাবি হাসানুল ইসলাম রাজার

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫ ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বিএনপির পাবনা-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসানুল ইসলাম রাজা বলেছেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
তবে আমি বিশ্বাস করি, ত্যাগী, স্থানীয় ও জনমানুষের আস্থাভাজন নেতাকেই দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।”
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে পাবনার ফরিদপুরে এক পথসভা ও শোডাউন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসানুল ইসলাম রাজা আরও বলেন, “এখনও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনোনয়ন নিয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি সেই প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে রয়েছি। পাবনা-৩ আসনে অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছেন। দল নিশ্চয়ই গ্রহণযোগ্য ও জনগণের মাঝে জনপ্রিয় কাউকেই মনোনয়ন দেবে।”
এর আগে ঢাকা থেকে সড়কপথে সিরাজগঞ্জের বাড়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নেতাকর্মীরা রাজাকে মোটরসাইকেল বহরসহ বরণ করে নেন। প্রায় পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ফরিদপুর, ভেড়ামারা, ভাঙ্গুড়া, জারদিস মোড়, চাটমোহরসহ একাধিক স্থানে শুভেচ্ছা বিনিময় ও পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
রাজা বলেন, “পাবনা-৩ আমার অস্তিত্ব, এখানকার মানুষ আমার আত্মার আত্মীয়। তাদের জন্যই আমি ৩০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছি—যার মাধ্যমে অসহায়, অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার রয়েছে।”
বিভিন্ন পথসভায় রাজা অভিযোগ করে বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাবনা-৩ এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। কারণ পূর্ববর্তী বেশিরভাগ সংসদ সদস্য ছিলেন এলাকার বাইরের। তাদের এই এলাকার মানুষ ও মাটির সঙ্গে ছিল না কোনো দায়বদ্ধতা।”
তিনি আরও বলেন, “এখন সময় এসেছে নিজের এলাকার নেতাকে নির্বাচিত করার। বহিরাগত কাউকে আর মেনে নেওয়া হবে না। ঘরে ঘরে আওয়াজ তুলুন—পাবনা-৩ এর এমপি হোক এখানকারই সন্তান।”
প্রার্থীতা নিয়ে রাজা বলেন, “চাটমোহর উপজেলায় শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ আমার পক্ষে বলছেন। তবে সিদ্ধান্ত দলের। এখনই মনোনয়ন নিয়ে চূড়ান্ত কিছু ভাবার সময় নয়। আমরা সংগঠনের আদর্শে বিশ্বাসী এবং সিদ্ধান্ত দলীয় ফোরামই নেবে।”
রাজা বলেন, “১৯৭১ সালে যেমন মুক্তিযুদ্ধে কিছু লোক ব্যক্তি স্বার্থে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিল, আজও তেমনি কিছু মানুষ ব্যক্তি স্বার্থে দলের আদর্শ বিসর্জন দিচ্ছে। আমি এই এলাকার সন্তান হিসেবে জনগণের স্বার্থে আজীবন লড়াই করে যাব।”
পথসভা ও শোডাউনে আরও উপস্থিত ছিলেন—চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম, বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা, মথুরাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি রেজাউল করিম বাবু, ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম মাস্টার, মোবারক হোসেন, যুবদল নেতা আলামিন তালুকদার এবং ডিভিগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
১২১ বার পড়া হয়েছে