সর্বশেষ

সারাদেশ

বন্যার ক্ষত কাটিয়ে উঠছে ফেনী, ভোগান্তি এখনো কাটেনি

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী প্রতিনিধি

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫ ৬:২৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফেনী জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

এখন পানি নামতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে দুর্গতদের মাঝে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই)। এরপর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু অংশেও। এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে জেলার ১১২টি গ্রাম, আর এসব এলাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লাখো মানুষ।

ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় এখনো হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি রয়েছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও ৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে ঘরে ফিরেছেন। তবে অনেকের বাড়িঘর এখনো পানির নিচে থাকায় তারা ফিরতে পারছেন না।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় জেলার ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা ও ২ হাজার ৩৫০টির বেশি মাছের ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রাণিসম্পদের ক্ষতি প্রায় ৬৫ লাখ টাকার বেশি।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, “পরশুরাম ও ফুলগাজী এলাকায় নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদরে এখনো পানি কিছুটা বেশি। পানি পুরোপুরি না কমা পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।”

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে শুকনো খাবার, গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের জন্য।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী নৌযান ব্যবহার করে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করছে। পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন ২৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক।

ফেনী আবহাওয়া অফিস জানায়, পাঁচ দিন অব্যাহত মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির পর শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ২১টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙেছে। এ ভাঙনের পথ ধরেই পানি ঢুকে পড়ে জনপদে। পুরোপুরি পানি না নামা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণচিত্র পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন