সর্বশেষ

প্রযুক্তি

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়নে চীনা যুদ্ধবিমানের নতুন অধ্যায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫ ৭:২৪ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষায় চীনা প্রযুক্তির ওপর আরও বেশি নির্ভর করছে।

বাংলাদেশের জন্য চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬টি J-10C যুদ্ধবিমান অফার করেছে, যা দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

J-10C হচ্ছে চীনের নিজস্ব উন্নয়নে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টিরোল ফাইটার, যেখানে রয়েছে আধুনিক AESA রাডার, উন্নত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ও বিস্তৃত অস্ত্রসজ্জা। প্রতিটি J-10C যুদ্ধবিমানের আনুমানিক মূল্য ৪০-৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ফলে ১৬টি বিমানের জন্য মোট খরচ দাঁড়াতে পারে ৬৪০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চীনা J-7/F-7 যুদ্ধবিমান যুক্ত হয় ১৯৯০-এর দশকের শেষ ভাগে। প্রথম দফায় ১৬টি F-7MB, পরে ১৬টি F-7BG এবং ৮টি FT-7B (ট্রেইনার) বিমান সংগ্রহ করা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে চীনের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ১৬টি F-7BGI যুদ্ধবিমান ও আধুনিক রাডার সরঞ্জামসহ পুরো প্যাকেজের জন্য বাংলাদেশ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে। যদিও পুরনো চুক্তিগুলোর নির্দিষ্ট খরচের তথ্য প্রকাশিত হয়নি, তবে J-7/F-7 সিরিজের বিমান প্রতি গড় মূল্য ১০-১৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ছিল বলে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা ধারণা দেন।

অন্যদিকে, পাকিস্তানও চীনের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে। দেশটি ইতিমধ্যে চীনের JF-17 Thunder ও J-10C যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত করেছে এবং সম্প্রতি চীনের পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার J-35 (FC-31) সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তান ৩০-৪০টি J-35 যুদ্ধবিমান পেতে যাচ্ছে, যার আনুমানিক খরচ ১.২ থেকে ২.৫ বিলিয়ন ডলার হতে পারে, বিশেষ ছাড় ও প্যাকেজ চুক্তি অনুযায়ী।

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় চীনা যুদ্ধবিমান দুই দেশের সামরিক সক্ষমতা ও কৌশলগত অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য J-10C এবং পাকিস্তানের জন্য J-10C ও J-35—এই চুক্তিগুলো আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ও আধুনিকায়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
প্রযুক্তি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন