সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যাকফায়ার: প্রযুক্তিগত ত্রুটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫ ৮:৩২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সম্প্রতি ইরান ও হামাসের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মুখে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

এসব ঘটনায় ইসরায়েলের বহুল প্রচলিত আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং ও অ্যারো সিস্টেমের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটি, ইলেকট্রনিক বিভ্রান্তি এবং সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ নাশকতার কারণে এই ব্যাকফায়ার ঘটেছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের প্রশ্ন তুলেছে।

২০২৫ সালের জুন মাসে ইরানের বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সময় দেখা যায়, কিছু ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ভুল পথে গিয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেই বিস্ফোরিত হয়। এতে তেলআবিবসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়।

তদন্তে উঠে আসে, কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েলি কমান্ড সেন্টার থেকে সিস্টেমের পথ পরিবর্তন করা হয়েছিল, যা অভ্যন্তরীণ নাশকতার সন্দেহ উস্কে দেয়। এছাড়া, হাইফা শহরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার সময় রাডার সিস্টেম সতর্কবার্তা দিতে ব্যর্থ হয় এবং ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে পারেনি। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ইলেকট্রনিক যুদ্ধের ক্ষেত্রেও ইরান নতুন কৌশল প্রয়োগ করেছে। ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, ফলে কিছু মিসাইল মাঝ আকাশেই ঘুরে গিয়ে নিজের এলাকায় বিস্ফোরিত হয়। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালের মে মাসে গাজা থেকে ছোড়া রকেট ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা জাল ভেদ করে এবং একটি ইন্টারসেপ্টর মিসাইল নিজ দেশের বেসামরিক এলাকায় পড়ে। একই বছরের জুন মাসে অ্যারো সিস্টেম ভুলবশত নিজেদের একটি ড্রোন গুলি করে ফেলে, বন্ধুত্বপূর্ণ সংকেত শনাক্তে বিভ্রান্তির কারণে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার সময় প্রথম ২০ মিনিটে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে এবং বহু রকেট ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরিত হয়। এসব ঘটনায় ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সামরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব ব্যর্থতা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত নয়, বরং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সাইবার হামলার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন